ঘটনাস্থলে দমকলকর্মীরা। ছবি সংগৃহীত।
রাজস্থানে একটি ছোট কারখানায় আজ আগুন লেগে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে তিনটি শিশুও রয়েছে। তাদের বয়স ৩ থেকে ৫ বছরের মধ্যে। পুলিশ জানিয়েছে, চার জনই জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছে। ওই কারখানাটিতে আঁকার জিনিসপত্র রাখা ছিল। সেই সঙ্গে কিছু রাসায়নিক দ্রব্যও ছিল। কী ভাবে আগুন লাগল তা অবশ্য রাত পর্যন্ত স্পষ্ট করে জানায়নি পুলিশ।
রাজস্থানের জমওয়ারামগঢ় এলাকায় ওই ছোট কারখানাটি অবস্থিত। সেখানে আঁকার জিনিসপত্র তৈরি করা হত বলে জানিয়েছে পুলিশ। কারখানাটিতে কয়েকটি ড্রামে তরল রাসায়নিক রাখা ছিল। তদন্তকারীদের অনুমান, ওই রাসায়নিক এবং দাহ্যবস্তু থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। জমওয়ারামগঢ়ের সার্কেল অফিসার শিব কুমার বলেন, ‘‘ধুলারাওজি গ্রামে চাষেরর জমির উপরে একটি বড় হল ঘরের মধ্যে কারাখানাটি ছিল। আজ হঠাৎই সেখানে আগুন লাগে। ওই দুর্ঘটনায় তিন শিশু-সহ চার জনের মৃত্যু হয়েছে।’’
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের পরিচয় জানা গিয়েছে। ২৫ বছর বয়সি যে ব্যক্তি দগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন তাঁর নাম রমেশ। মারা গিয়েছে, তাঁর তিন বছরের মেয়ে জয়া। অন্য দুই শিশুর নাম গরিমা (৩) এবং কালু (৪)। সার্কেল অফিসার জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডে এক শিশু-সহ তিন জন আহত হয়েছে। স্থানীয় হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে।
জমওয়ারামগঢ়ের স্টেশন হাউস অফিসার যোগেন্দ্র সিংহ জানিয়েছেন, শঙ্করলাল নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা ওই কারখানার মালিক। যে তিনটি শিশু মারা গিয়েছে, তার মধ্যে দু’জন শঙ্করলালের পরিবারের। যোগেন্দ্র বলেন, ‘‘যখন আগুন লাগে, তখন ওই তিন শিশু কারখানার ভিতরে ছিল। তাদের বাঁচাতে রমেশও কারখানার ভিতরে ঢোকে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।’’ আগামিকাল ফরেন্সিক দল নমুনা সংগ্রহ করবে বলে জানান যোগেন্দ্র।