Odisha Train Accident

করমণ্ডল দুর্ঘটনার পর দু’মাস পার, এখনও শনাক্ত হয়নি ২৯ জনের দেহ, জানাল ভুবনেশ্বর এমস

এমস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ট্রেন দুর্ঘটনায় যাঁরা মারা গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ২৬৬ জনের মৃতদেহ শনাক্ত করা গেলেও এখনও ২৯ জনের দেহ অশনাক্ত অবস্থায় রয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

ভুবনেশ্বর শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২৩ ০৯:৩০
Share:

বালেশ্বরের কাছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া রেলের কামরা। —ফাইল চিত্র।

করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর কেটে গিয়েছে আরও দু’মাস। কিন্তু এখনও দুর্ঘটনায় মৃতদের বেশ কিছু দেহের শনাক্তকরণ সম্পূর্ণ হয়নি। ওড়িশার ভুবনেশ্বরের এমসে সংরক্ষণ করা রয়েছে ওই মৃতদেহগুলি। হাসপাতাল সূত্রে খবর,এখনও ২৯ জনের দেহ শনাক্ত করা যায়নি।

Advertisement

গত ২ জুন সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটেওড়িশার বালেশ্বরের কাছে বাহানগা বাজার স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। লাইনচ্যুত হয় বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসও। দুর্ঘটনার অভিঘাতে একটি মালগাড়ির ওয়াগনের উপর উঠে যায় করমণ্ডলের ইঞ্জিন। এই দুর্ঘটনায় ২৯৩ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন হাজারেরও বেশি মানুষ।

এমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ট্রেন দুর্ঘটনায় যাঁদের মৃত্যু হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ২৬৬ জনের দেহ শনাক্ত করে তাঁদের পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও ২৯ জনের মৃতদেহের শনাক্তকরণ করা যায়নি।

Advertisement

হাসপাতাল সুপার দিলীপকুমার পারিদা বলেন, “দুর্ঘটনার পর ওড়িশার অন্যান্য হাসপাতাল থেকে এমনকি সরাসরি দুর্ঘটনাস্থল থেকেও ১৬২ জনের দেহ পাঠানো হয়েছিল এমসে। ডিএনএ পরীক্ষা করে প্রথম দফায় ৮১ জনের দেহ শনাক্ত করা হয় এবং তাঁদের পরিবারের হাতে মৃতদেহ তুলে দেওয়া হয়। একাধিক দাবিদার-সহ অন্যান্য সমস্যা থাকায় অবশিষ্ট ৮১ জনের মৃতদেহ শনাক্ত করা যায়নি। তবে ডিএনএ পরীক্ষার ফল প্রকাশ্যে আসায় ৫২ জনের দেহ তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এখনও ২৯ জনের দেহ অশনাক্ত অবস্থায় হাসপাতালেই রয়েছে।’’

সুপার জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তাঁরা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। কেন্দ্র, রাজ্য সরকার এবং রেল মিলে যা সিদ্ধান্ত নেবে তা মেনেই পদক্ষেপ করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement