লখনউয়ের মনকামেশ্বর মন্দিরে প্রবেশপথের তোরণ। ছবি: সংগৃহীত।
তিরুপতির প্রসাদী লাড্ডু ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধতেই এ বার সতর্কতা অন্য মন্দিরগুলিতেও। উত্তরপ্রদেশের মথুরা, বৃন্দাবন ও গোবর্ধনে মন্দির সংলগ্ন একাধিক দোকান থেকে প্রসাদী প্যাঁড়ার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে পরীক্ষার জন্য। এ বার লখনউয়ের মনকামেশ্বর মন্দিরে বাইরের থেকে কিনে আনা প্রসাদ নিয়ে কড়াকড়ি শুরু হয়েচে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, বাইরে থেকে কিনে আনা কোনও ‘প্রসাদ’ ওই মন্দিরে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেবলমাত্র ঘরে বানানো প্রসাদ কিংবা ফল অর্পণ করা যাবে মন্দিরের পুজোয়। অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি মন্দিরের প্রসাদে ‘ভেজাল’ মেশানোর অভিযোগ নিয়েও মন্তব্য করেছেন মনকামেশ্বর মন্দির কর্তৃপক্ষ। তাঁদের বক্তব্য, “এই অপরাধের ক্ষমা হয় না।”
মন্দির কর্তৃপক্ষ আরও বলেছেন, “তিরুপতি মন্দিরে প্রসাদে ভেজাল মেশানোর অভিযোগ উঠে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা ভক্তদের অনুরোধ করেছি, যাতে তাঁরা কোনও আমিষ দ্রব্যের প্রসাদ নিয়ে মন্দিরে না আসেন।” তিরুপতি মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডু নিয়ে বিতর্কের আবহে চর্চা শুরু হয়েছে অন্য মন্দিরগুলির প্রসাদ নিয়েও। প্রশ্ন উঠেছে উত্তরপ্রদেশের বৃন্দাবনের প্রসাদের গুণগত মান নিয়েও। সমাজবাদী পার্টির সাংসদ ডিম্পল যাদবের সন্দেহ, বৃন্দাবনের প্যাঁড়ায় সঠিক গুণমানের খোয়া ব্যবহার হচ্ছে না। এই বিতর্কের মধ্যেই পদক্ষেপ করেছে উত্তরপ্রদেশের প্রশাসন। সে রাজ্যের বিভিন্ন মন্দিরের প্রসাদের মান যাচাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
সূত্রের খবর গত দু’দিনে মথুরা, বৃন্দাবন এবং গোবর্ধনের একাধিক মন্দির সংলগ্ন দোকানগুলি থেকে প্রায় ১৩টি প্রসাদের নমুনা সংগ্রহ করেছে সে রাজ্যের খাদ্য সুরক্ষা নিয়ামক দফতর (ফুড সেফটি অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট)। তালিকায় রয়েছে শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমি, বাঁকেবিহারি মন্দির এবং দান ঘাটি মন্দির সংলগ্ন এলাকার দোকানগুলি। খাদ্য সুরক্ষা দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার জানিয়েছেন, ওই নমুনাগুলির মান যাচাইয়ের জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হবে।
গত সপ্তাহেই তিরুপতির প্রসাদী লাড্ডু নিয়ে ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য করেছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু। তাঁর অভিযোগ ছিল, জগন্মোহন রেড্ডির সরকারের আমলে তিরুমালার প্রসাদী লাড্ডু বানানোর সময় ব্যবহৃত ঘিয়ের সঙ্গে পশুর চর্বি মেশানো হত। নিজের দাবির সমর্থনে গুজরাতের এক সরকারি ল্যাবরেটরির রিপোর্টও তুলে ধরেছিলেন তিনি। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে জগনের দল ওয়াইএসআর কংগ্রেস।