তিন মাসে পর পর উত্তর-পূর্বের তিন রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর উপরে জঙ্গি হামলা হওয়ায় উত্তর-পূর্বে, বিশেষ করে মণিপুরে, আফস্পা প্রত্যাহারের আশা আরও কমে গেল।
মণিপুরের চান্ডেলে আজই সেনা কনভয়ের উপর জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছেন ২০ জন জওয়ান। আর এ দিনই আফস্পা প্রত্যাহারের দাবিতে ১৫ বছর ধরে অনশন চালানো ইরম শর্মিলা চানু আদালতে হাজিরার জন্য দিল্লি গেলেন। ২০০৬ সালে যন্তর মন্তরের সামনে আফস্পা প্রত্যাহারের দাবিতে অনশনে বসায় চানুর বিরুদ্ধে দিল্লির পাতিয়ালা আদালতে মামলা দায়ের হয়। তার শুনানির জন্যই চানুর দিল্লি যাত্রা।
এ দিন বিমানবন্দরে চানু বলেন, আফস্পা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার কথাই তিনি আদালতে বলবেন। ত্রিপুরা সরকারের উদাহরণও তুলে ধরবেন বলে জানান তিনি। ত্রিপুরা আফস্পা প্রত্যাহারের পরে কেন্দ্রের উপরে মণিপুরের মানবাধিকার সংগঠনগুলি চাপ বাড়াচ্ছিল। আজ যে চান্ডেলে সেনা কনভয়ের ওপর হামলা হয়েছে, সেই চান্ডেলেই ৩১ মে আসাম রাইফেল্সের বিরুদ্ধে এক মহিলা সংগঠনের নেত্রীকে জখম করা ও তিন মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল। তার পরেই আফস্পা বিরোধী স্লোগান আরও জোরদার হয়। জখম মহিলা ১ জুন হাসপাতালে মারা যান। প্রতিবাদে যৌথ মঞ্চ অনির্দিষ্ট কালের জন্য চান্ডেল বন্ধ ডাকে। ইম্ফল-চান্ডেলে আফস্পা বিরোধী আন্দোলনও শুরু হয়। কাল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে বৈঠকের পরে বন্ধ ও জাতীয় সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়েছিল।
আফস্পা-বিরোধী আন্দোলনের মুখে আজকের এই জঙ্গি হামলা সরকারের হাত শক্ত করল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু জানান, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে কেন্দ্র কোনও ভাবেই মণিপুর থেকে আফস্পা প্রত্যাহারে ঝুঁকি নেবে না। সেনাবাহিনীও আফস্পা প্রত্যাহারের বিরোধিতা করেছে।