Manipur Violence

মণিপুর নিয়ে এ বার ঘরেই ‘চাপে’ বিজেপি, বীরেন সিংহ সরকারের থেকে সমর্থন তুলল এনডিএ শরিক

মণিপুর নিয়ে অস্বস্তি বাড়ল বিজেপির। এন বীরেন সিংহের সরকারের থেকে সমর্থন তুলে নিল এনডিএ-র শরিক ‘কুকি পিপলস অ্যালায়েন্স’ (কেপিএ)।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

ইম্ফল শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২৩ ২১:৫০
Share:

মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ। —ফাইল চিত্র।

হিংসাদীর্ণ মণিপুর নিয়ে এ বার ঘরের মধ্যেই চিড় ধরল বিজেপিতে। এন বীরেন সিংহের সরকারের থেকে সমর্থন তুলে নিল এনডিএ-র শরিক ‘কুকি পিপলস অ্যালায়েন্স’ (কেপিএ)। রবিবার রাজ্যপাল অনসূয়া উইকেকে চিঠি লিখে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা জানিয়েছেন কেপিএ সভাপতি টংমাং হাওকিপ। এত দিন মণিপুর নিয়ে বিরোধীদের ক্ষোভ সামলাতে হচ্ছিল মোদী বাহিনীকে। এ বার শরিক সরে দাঁড়ানোয় বিজেপি শিবিরের অস্বস্তি বাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

মণিপুরে বিজেপি সরকারের সঙ্গে জোটে শামিল হয়েছিল কেপিএ। তাঁদের দুই বিধায়ক রয়েছেন। রবিবার রাজ্যপালকে লেখা চিঠিতে সে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার পর মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের সরকারের প্রতি সমর্থন জারি রাখা ঠিক হবে না। তাই মণিপুর সরকারের থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করা হচ্ছে।

তবে কেপিএ-র দুই বিধায়কের সমর্থন প্রত্যাহারে সরকার বিপদে পড়বে না মণিপুরে। ৬০ আসনের বিধানসভায় বিজেপির একার হাতেই রয়েছেন ৩২ জন বিধায়ক। পাশাপাশি, নাগা পিপলস ফ্রন্টের পাঁচ জন এবং তিন নির্দল বিধায়কের সমর্থন রয়েছে বিজেপির হাতে। অন্য দিকে, বিরোধী শিবিরে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির হাতে রয়েছে সাত বিধায়ক। পাঁচ বিধায়ক রয়েছে কংগ্রেসের। জেডিইউ-র হাতে রয়েছে ছয় বিধায়ক। মণিপুরের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের পদত্যাগের দাবি উঠেছে। একবার পদত্যাগ করার ইচ্ছাপ্রকাশও করেছিলেন তিনি। তবে পরে তিনি অবস্থান বদলান।

Advertisement

গত তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে উত্তপ্ত মণিপুর। উত্তর পূর্বের রাজ্যে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু তার পরও পরিস্থিতির বদল ঘটেনি। সংঘর্ষের মধ্যেই দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে ঘোরানোর একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। ওই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। গত ৪ মে কঙ্গপোকপি জেলায় দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয় বলে অভিযোগ। তাঁদের একটি মাঠে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলেও দাবি। ২৬ সেকেন্ডের ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসার পরেই দেশ জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। মণিপুরের ঘটনার নিন্দায় সরব হয় নানা মহল। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই নীরবতা ভাঙেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মণিপুর নিয়ে ৭৮ দিন মৌনী থাকার পর মোদী বলেছিলেন, ‘‘এই ঘটনা যে কোনও সভ্য সমাজের লজ্জা।’’ যদিও মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে সরব বিরোধীরা। এই নিয়ে বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে। এই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আগামী ৮ অগস্ট আলোচনা হবে সংসদে। ১০ অগস্ট জবাবি বক্তৃতা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর মধ্যেই সে রাজ্যে শরিকের সমর্থন হারাল পদ্মশিবির।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement