ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। —ফাইল চিত্র।
ত্রিপুরা ও জনজাতিদের উন্নয়নের প্রশ্নে রাজ্যের বিগত বাম সরকার ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে প্রায়শই কটাক্ষ করেন তিপ্রা মথার শীর্ষ নেতা প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মা। এ বার জনজাতিদের উন্নয়নের প্রসঙ্গে প্রদ্যোতকে পাল্টা আক্রমণ করলেন মানিক।
মানিকের অভিযোগ, প্রদ্যোত কিশোরের পরিবারের লোকেরা নানা রকম সাংবিধানিক পদে থেকেছেন। কিন্তু জনজাতিদের আবেগ নিয়ে রাজনীতি করলেও তাঁদের প্রকৃত উন্নয়ন কেউ করেননি। বর্তমানে ত্রিপুরা স্বশাসিত জেলা পরিষদ তিপ্রা মথার হাতে রয়েছে। সেখানে লুট চলা সত্ত্বেও প্রদ্যোত কিশোর কী করছেন, সেই প্রশ্ন তুলে মানিকের বক্তব্য, ২০২৩-এর বিধানসভা নির্বাচনে মথা যদি ‘প্রতারণা’ না করত, তা হলে বিজেপি ক্ষমতাতেই আসতে পারত না। বামফ্রন্টের শাসনে জনজাতিদের জন্য জনশিক্ষা আন্দোলন হয়েছে। এই আন্দোলনকে রুখতে জনজাতি নেতাদের বন্দি করে রাজবাড়ীতে রাখা হয়েছিল বলে দাবি করেন মানিক।
ত্রিপুরা স্বশাসিত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জগদীশ দেববর্মার দাবি, মানিক রাজনীতি করার জন্য বিভ্রান্তিকর কথা বলছেন। প্রথম রাজন্য আমলে মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর প্রায় ৩০০ প্রাথমিক স্কুল স্থাপন করেন। স্বশাসিত জেলা পরিষদের নিজস্ব অর্থ থাকলে উন্নয়ন করা যেত। তা সত্ত্বেও এলাকার জনগণের জন্য উন্নয়নের চেষ্টা চলছে। নিজস্ব সংবাদদাতা