সরকার বদলের পরে প্রথমে উঠেছিল বিরোধীদের দলীয় দফতর ভাঙচুর এবং জবরদখলের। এর পরে সরকারি জমিতে রাজনৈতিক দলের দফতর ভাঙা শুরু হয়েছে সরকারি ভাবেই। যার ফলে ভাঙা পড়ছে দুই বিরোধী দল সিপিএম ও কংগ্রেসের নানা কার্যালয়। বিরোধীদের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করে এমন পথে গিয়ে ত্রিপুরার বিজেপি সরকার ‘অগণতান্ত্রিক’ কাজ করেছে বলে সরব হলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
আগরতলার পুরনো মোটরস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় আজ ভাঙা কার্যালয় ঘুরে দেখতে এবং দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা মানিকবাবু, বিধায়ক তপন চক্রবর্তী, রতন ভৌমিক, মবস্বর আলিরা। জেলা প্রশাসন গত কাল থেকেই সরকারি জায়গায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্য়ালয় ভাঙতে শুরু করেছে। মানিকবাবুর প্রশ্ন, প্রথমেই না ভেঙে সংশ্লিষ্ট দলগুলির সঙ্গে সরকার আলোচনায় বসতে পারত না?
বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনে মানিকবাবু বলেন, ‘‘শ্রমিক ও কর্মচারীদের যদি সংগঠন করার অধিকার থাকে, তা হলে তো তাদের কার্যালয় ও সমিতির ঘর করারও অধিকার আছে | সবাই তো সব সময় পয়সা দিয়ে জোত জমি কিনে অফিস ঘর তৈরি করতে পারে না | কেউ কেউ সরকারের অব্যবহৃত জমিতে সমিতির কার্যালয় নির্মাণ করতেই পারে। সরকার সেটা গণতান্ত্রিক ভাবে সমাধান না করে অগণতান্ত্রিক ভাবে কাজ করছে।’’ আগরতলা জি বি হাসপাতাল বাজারের কাছে আজই সিপিএমের কার্যালয় ভাঙা হয়েছে।
পেট্রলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ সারা দেশের মতো বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছিল ত্রিপুরা সিপিএমও। তার জন্যে প্রশাসনের কাছে মিছিলের অনুমতি চেয়েছিল তারা। বিকালে আগরতলা শহরে একটি ধর্মীয় মিছিল আছে বলে সময় পরিবর্তনের জন্যে অনুরোধ করা হয় প্রশাসনের তরফে। তখন আবার সকাল ১১টায় মিছিল করার অনুমতি চাইলে আইনশৃঙ্খলা জনিত কারণ দেখিয়ে অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ সিপিএমের সদর বিভাগীয় কমিটির|