প্রতীকী ছবি।
একটি নামী বেসরকারি ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে গ্রাহকের সাড়ে ১৩ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল নয়াদিল্লিতে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৬ সালে আমেরিকা থেকে দেশে ফিরে আসেন ওই মহিলা গ্রাহক। সংবাদমাধ্যম বিবিসি-র কাছে ওই মহিলা দাবি করেছেন, আমেরিকা থেকে ভারতে আসার পর সাড়ে ১৩ কোটি টাকা একটি নামী বেসরকারি ব্যাঙ্কে স্থানান্তর করেন। স্থানী আমানত হিসাবে সেই টাকা গচ্ছিত রাখেন। সেই টাকা কয়েক বছরের মধ্যে সুদসমেত ১৬ কোটি টাকা হওয়ার কথা ছিল বলে দাবি ওই গ্রাহকের।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই গ্রাহকের নাম শ্বেতা শর্মা। ২০১৬ সালে স্বামীর সঙ্গে ভারতে আসার পর এক বন্ধুর মাধ্যমে নামী বেসরকারি ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের সঙ্গে আলাপ হয়। অভিযোগ, সেই ম্যানেজার তাঁকে পরামর্শ দেন তাঁদের ব্যাঙ্কে ওই টাকা স্থানী আমানত হিসাবে গচ্ছিত রাখতে। শুধু তাই-ই নয়, আমেরিকায় ওই টাকার অল্প সুদ মিলবে বলেও তাঁকে বুঝিয়ে তাঁর ব্যাঙ্কে সেই টাকা গচ্ছিত রাখার জন্য বলেন। এমনকি সাড়ে ৫ থেকে ৬ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হবে বলেও মহিলাকে জানান ব্যাঙ্ক ম্যানেজার।
ম্যানেজারের কথা শুনে সেই টাকা ব্যাঙ্কে স্থানীয় আমানত হিসাবে গচ্ছিত রাখেন বলে দাবি মহিলার। কিন্তু সেই টাকা ওই ম্যানেজার হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ মহিলার। এ বছরের জানুয়ারিতে ব্যাঙ্কে টাকার খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারেন অ্যাকাউন্টে কোনও টাকাই নেই। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যাওয়ায় অভিযুক্ত ম্যানেজারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। ওই ম্যানেজারের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশ এবং আর্থিক দুর্নীতিদমন শাখায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, যদি মহিলার অভিযোগ সত্যি হয়, তা হলে সুদসমেত তাঁকে টাকা ফেরত দেওয়া হবে। তবে তার জন্য গ্রাহককে অপেক্ষা করতে হবে।