রাস্তা নিয়ে অভিযোগ করার সময়েই উল্টে গেল টোটো।
রাস্তায় বড় বড় গর্ত। তাতে বৃষ্টির জল জমে বোধাই যাচ্ছিল না, কোনটা রাস্তা, আর কোনটা গর্ত। তার মধ্যে দিয়েও পাশ কাটিয়ে এক এক করে গাড়ি, বাইক, সাইকেল যাচ্ছিল।
রাস্তার খারাপ হাল নিয়েই এক সংবাদমাধ্যমে অভিযোগ জানাচ্ছিলেন প্রবীর কুমার। তাঁর অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে রাস্তা ঠিক মতো সারানো হয় না। প্রশাসনকে একাধিক বার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এবড়োখেবড়ো রাস্তা দিয়ে যেতে গিয়ে হামেশাই দুর্ঘটনার শিকার হন গাড়িচালক, পথচারীরা। কিন্তু তাতেও হুঁশ ফেরে না প্রশাসনের।
প্রবীর যখন এই রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছিলেন, দুর্ঘটনার কথা বলতে গিয়ে যে উদাহরণ তুলে ধরেছিলেন, কাকতালীয় ভাবে ঠিক সেই ঘটনাই ঘটল ক্যামেরার সামনে। জলভর্তি গর্ত কাটিয়ে যেতে গিয়েই সওয়ারিসমেত রাস্তার মধ্যে উল্টে গেল টোটো। ভিতরে বসা এক বৃদ্ধ এবং বৃদ্ধা তার নীচে চাপা পড়ে যান। টোটো উল্টে যেতেই স্থানীয়রা দৌড়ে গিয়ে টোটোকে সোজা করে বৃদ্ধ এবং বৃদ্ধাকে উদ্ধার করেন। বৃদ্ধ খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতে দেখা যায়। আর বৃদ্ধা রাস্তার উপরেই বসে পড়েন। এই ঘটনা যখন চলছে, তত ক্ষণে বিপুল যানজট সৃষ্টি হয়েছিল ওই রাস্তায়।
উত্তরপ্রদেশের বালিয়ার বাসিন্দা প্রবীর। তিনি রাস্তার খারাপ হাল নিয়ে সংবাদমাধ্যমে অভিযোগ করেন, দিনে ২০ বার টোটো উল্টে যাওয়ার ঘটনা ঘটে স্রেফ রাস্তার এই খারাপ হালের জন্য। এই উদাহরণ দিতে দিতেই তাঁরই চোখের সামনে সেই উদাহরণই বাস্তবে ঘটল। আর ক্যামেরাবন্দিও হল।
সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের হিসাব বলছে, ২০১৮-’২০ সালের মধ্যে খারাপ রাস্তার কারণে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৬২৬ জনের।