উদ্ধার হওয়া কুমিরটি। ছবি: সংগৃহীত।
হালকা শীতে বাড়িতে চাদরমুড়ি দিয়ে বেশ আরামেই ঘুমোচ্ছিলেন দাশরথি। কিন্তু সকালবেলায় ঘুম ভাঙতেই যা দেখলেন তাতে আঁতকে উঠলেন। বিছানার পাশেই ঘাপটি মেরে শুয়ে রয়েছে বিশাল আকারের এক কুমির!
হ্যাঁ, এমনই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হয়েছে ওড়িশার মালকানগিরির মুনসা গ্রামের বাসিন্দা দাশরথি পাদিয়ামির। ঘুম ভাঙতেই পাশে ভয়ঙ্কর এই অতিথিকে দেখে ছিটকে সরে আসেন তিনি। চিত্কার করে ডেকে পাশের ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে বলেন স্ত্রীকে। কিন্তু ততক্ষণে নড়েচড়ে বসেছে কুমিরটি। ঘরে ঢোকার দরজা আগলে তখন পড়ে রয়েছেন কুমিরমশাই। ও দিকে ঘরের ভিতরে তখনও ঘুমোচ্ছে দাশরথির দুই মেয়ে। কোনও উপায় না দেখে প্রতিবেশীদের ডেকে পাঠান তিনি। তাঁদের সাহায্যেই বাড়ির ছাদের টালি সরিয়ে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁর দুই মেয়েকে।
আরও পড়ুন:
পর পর কন্যাসন্তান, তিন মেয়েকে ট্রেন থেকে ফেলে দিল বাবা-ই!
ট্রেনে বিনা টিকিটে এক হাজার যাত্রী! তবু ধরল না চেকার
এর পরই তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় বন দপ্তরে। খবর পেয়ে ছুটে আসেন মালকানগিরির ফরেস্ট রেঞ্জের আধিকারিকরা। উদ্ধার করে নিয়ে যান কুমিরটিকে। বন দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দাশরথির বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া কুমিরটি ১২ ফুট লম্বা এবং ওজন প্রায় ৫০০ কেজি। কুমিরটিকে উদ্ধার করে মুনসা গ্রাম থেকে ৬০ কিমি দূরের একটি জলাশয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।