—প্রতীকী চিত্র।
স্ত্রীকে খুন করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল স্বামীরও। তিনি আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছিলেন বলে অনুমান করছে পুলিশ। আবার, এই পথ দুর্ঘটনাকে আত্মহত্যা বলেও সন্দেহ করছেন কেউ কেউ।
ঘটনাটি তেলঙ্গানার আদিলাবাদ শহরের। মৃতেরা হলেন, দীপা (২২) এবং অরুণ কুমার (৩০)। মাত্র চার মাস আগে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। অভিযোগ, স্ত্রী অন্য কোনও সম্পর্কে জড়িয়ে রয়েছেন বলে সন্দেহ করেছিলেন অরুণ। তা নিয়ে বিয়ের পর থেকেই তাঁদের মধ্যে অশান্তি হচ্ছিল। মাসখানেক আগে অশান্তির জেরে বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন দীপা। পরে তাঁর মা তাঁকে আবার শ্বশুরবাড়িতে রেখে যান।
পুলিশ জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফেরেন যুবক। স্ত্রীর সঙ্গে আবার বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। ভোর রাতে ঝগড়া করতে করতে স্ত্রীর মাথা খাটের পাশে শক্ত কাঠে ঠুকে দেন অরুণ।
তরুণীর মাথা ফেটে গলগল করে রক্ত ঝরতে থাকে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এর পর স্ত্রীর দেহ ঘরে রেখে বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়েন অরুণ। তাঁর বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন, ভোর ৪টে নাগাদ তিনি পুত্রবধূর মৃতদেহ আবিষ্কার করেন। ছেলেকে ফোন করে জানতে পারেন, অরুণই খুন করেছেন। এমনকি, তিনি আত্মসমর্পণ করতে চান বলেও বাবাকে জানিয়েছিলেন অরুণ।
কিন্তু পথেই তাঁর বাইকটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় বাইকের। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় যুবকের। এই ঘটনায় তরুণীর পরিবারের সদস্যেরা অরুণের পরিবারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের মামলা রুজু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।