Murder

বচসার পর লিভ-ইন সঙ্গীকে দেওয়ালে মাথা ঠুকে খুন, ধৃত অভিযুক্ত

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম কৃষ্ণা কুমারী। নেপালের বাসিন্দা। কৃষ্ণা বেঙ্গালুরুর হোরামাভু এলাকায় লিভ-ইন সঙ্গী সন্তোষ ধামির সঙ্গে থাকতেন। সেখানে একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতেন কৃষ্ণা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২২ ১৮:০৯
Share:

শ্রদ্ধা ওয়ালকরের ঘটনা নিয়ে যখন গোটা দেশ তোলপাড়, ঠিক সেই সময়েই আরও একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এল। দেওয়ালে লিভ-ইন সঙ্গীর মাথা ঠুকে খুনের অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি বেঙ্গালুরুর। বুধবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম কৃষ্ণা কুমারী। নেপালের বাসিন্দা। কৃষ্ণা বেঙ্গালুরুর হোরামাভু এলাকায় লিভ-ইন সঙ্গী সন্তোষ ধামির সঙ্গে থাকতেন। সেখানেই একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতেন কৃষ্ণা। হোরামাভু এলাকায় বেশ কয়েক বছর একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন দু’জন।

পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সকালে কৃষ্ণার সঙ্গে সন্তোষের কোনও একটি বিষয় নিয়ে বচসা হয়। আচমকাই রাগের বশে কৃষ্ণাকে মারধর করতে শুরু করেন সন্তোষ। তার পর তাঁর মাথা দেওয়ালে বেশ কয়েক বার জোরে ঠুকে দেন। গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় কৃষ্ণার। ঘটনার পরই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান সন্তোষ।

Advertisement

প্রতিবেশীদের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দেখে, ঘরের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন কৃষ্ণা। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর পরই পুলিশ কৃষ্ণার সঙ্গীর খোঁজে নামে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করে। কী কারণে কৃষ্ণাকে খুন করেছেন সন্তোষ, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। বেঙ্গালুরু ইস্ট ডিভিশনের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ভীমশঙ্কর এস গুলেদ বলেন, “কৃষ্ণা কুমারী নামে এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁর লিভ-ইন সঙ্গীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠেছে।”

গত ১৮ মে শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে খুনের অভিযোগ ওঠে তাঁরই লিভ-ইন সঙ্গী আফতাব পুনাওয়ালার বিরুদ্ধে। শ্রদ্ধাকে খুন করে তাঁর দেহ ৩৫ টুকরো করে ফেলে দেন বলে অভিযোগ। এই হত্যাকাণ্ড নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement