ধর্ষণের অভিযোগে প্রৌঢ়কে ১৭ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। প্রতীকী ছবি।
নিজের কন্যাকেই ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে ৫৩ বছর বয়সি এক প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের পাশাপাশি ১৩ বছরের নাবালিকাকে তাঁর বাবা মারধরও করেছেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় চলতি সপ্তাহে ওই প্রৌঢ়কে ১৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে মুম্বইয়ের বিশেষ পকসো আদালত। শনিবার এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এসেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ছোটবেলায় মাকে হারায় ওই নাবালিকা। তার পর থেকে বাবার কাছেই থাকত সে। পরে ওই প্রৌঢ় দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বাবার যৌন হেনস্থার শিকার হওয়ার পর এক দিনে পালিয়ে মামাবাড়িতে চলে যায় ওই নাবালিকা। সেখানে এই ঘটনার কথা জানায় নাবালিকা। এর পরই অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত প্রৌঢ়কে।
এই মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দেন নির্যাতিতা এবং তাঁর এক আত্মীয়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেন প্রৌঢ়ের দ্বিতীয় স্ত্রী। তিনি আদালতে দাবি করেন যে, তাঁর স্বামীর পকেট থেকে ৫০০ টাকা চুরি করেছিল নাবালিকা। সেই কারণে তাকে বকাবকি করা হয়। আর তার জেরেই সে মামাবাড়িতে চলে যায়। মহিলার ওই দাবি অস্বীকার করেন নাবালিকার ওই আত্মীয়।
‘দ্য প্রোবেশন অফ অফেন্ডার্স’ আইনের আওতায় প্রৌঢ় কোনও সুবিধা পাবেন না। আদালত জানায়, এই আইনের আওতায় কারাবাসে ভাল আচরণের জন্য সাজা মকুব হতে পারে। এই ধরনের অপরাধের সুবিচারের জন্য ওই প্রৌঢ়কে ১৭ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
৯ বছরের বালিকাকে ধর্ষণের পর খুন করার অপরাধে ২২ বছরের এক যুবককে সম্প্রতি মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে গুজরাতের বিশেষ আদালত। ২০২০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি গুজরাতের বলসাড় জেলার বাপি এলাকায় এক বালিকাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ধর্ষণের পর তার দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। সেই মামলায় মৃত্যুদণ্ডের সাজার নির্দেশ দেয় আদালত।