বাঁ দিক থেকে দ্বিতীয় বিজেপি বিধায়ক সুরেন্দ্র সিংহ ও তৃতীয় গুলি চালনায় অভিযুক্ত ধীরেন্দ্র সিংহ। ছবি ফেসবুক থেকে নেওয়া।
উত্তরপ্রদেশের বালিয়ায় পুলিশের সামনেই গুলি করে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার লখনউ-ফৈজাবাদ হাইওয়ে থেকে ধীরেন্দ্র সিংহ নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। ধীরেন্দ্র এক জন প্রাক্তন সেনাকর্মী।
এসটিএফের দাবি, খুনের পর গত কয়েক দিন ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল ধীরেন্দ্র। প্রথম সে বিহারে চম্পট দিয়েছিল। কিন্তু ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে সেখান থেকে লখনউয়ে আসে সে। লখনউতে লুকিয়ে থাকার জায়গা খুঁজছিল বলেই এসটিএফের অনুমান। আরও জানা গিয়েছে, আদালতে আগেভাগেই আত্মসমর্পণের আবেদন করেছিল ধীরেন্দ্র। সে সরাসরি আদালতে আত্মসমর্পণ করার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু তার আগেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
গত বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলার দুরজানপুর গ্রামে রেশনের বরাদ্দ নিয়ে পঞ্চায়েত ভবনে সভা ডাকা হয়েছিল। গ্রামের একটি বড় অংশ জড়ো হয়েছিলেন সেখানে। কিন্তু বিবাদের জেরে সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট সেই বৈঠক বাতিল করার পরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সরকারি আধিকারিক ও পুলিশের সামনেই গুলি চালান ধীরেন্দ্র নামে ওই বিজেপি কর্মী। তার জেরে জেরে মৃত্যু হয় জয়প্রকাশ নামে এক ব্যক্তির। তার পর থেকেই ধীরেন্দ্রর খোঁজ চালাচ্ছিল পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘করোনার শিখর পেরিয়ে এসেছে দেশ, ফেব্রুয়ারিতে শেষ হবে অতিমারি’
আরও পড়ুন: চিনা অনুপ্রবেশের পাশাপাশি অমিতের ‘নজরে’ এ বার পশ্চিমবঙ্গের ভোট
ধীরেন্দ্র গ্রেফতারে কিছুটা স্বস্তিতে নিহতের পরিবার। জয় প্রকাশের দাদা সূরজপালের বক্তব্য, ‘‘আমরা ধীরেন্দ্রর কড়া শাস্তি চাই। আমরা ওর মৃত্যুদণ্ড চাই। একই সঙ্গে আমাদের জন্য নিরাপত্তাও চাই।’’