শঙ্কর এবং মহম্মদ। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।
বিহারের বাসিন্দা শঙ্কর মাঝি। অক্সিজেন ট্যাঙ্কারের চালক হিসাবে কাজ করেন কর্নাটকে। এক বছরের বেশি সময় তিনি দেখেননি তাঁর ৫ বছরের মেয়েকে। এই এক বছর ধরে বিভিন্ন জায়গায় অক্সিজেন ট্যাঙ্কার বয়ে নিয়ে গিয়েছেন তিনি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই দেশজুড়ে বেড়েছে অক্সিজেনের চাহিদা। তাই শঙ্করের কাজের চাপও বেড়েছে গত কয়েক দিনে।
প্রায় ২০ বছর ধরে অক্সিজেন ট্যাঙ্কার চালাচ্ছেন শঙ্কর। কিন্তু অক্সিজেনের এ রকম চাহিদা তিনি আগে কখনও দেখেননি বলে জানিয়েছেন এক সংবাদমাধ্যমকে। গত এক সপ্তাহে কর্নাটকের মহীশূর থেকে কোপ্পাল পর্যন্ত ৩ বার যাতায়াত করেছেন অক্সিজেন ট্যাঙ্কার নিয়ে। এ বিষয়ে শঙ্কর বলেছেন, ‘‘অন্য সময় প্রতি বার যাত্রার পর আমরা বিশ্রাম নিই। কিন্তু এ বার টানা কাজ করে চলেছি। চা খাওয়ারও সময় পাচ্ছি না।’’
গত বছর অতিমারি শুরুর পর থেকে আর বিহারে ফিরতে পারেননি শঙ্কর। তাই নিজের মেয়েকেও দেখতে পারেনি এক বছরের বেশি সময়। এ নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘মেয়েকে দেখিনি এক বছরের বেশি হয়ে গেল। যখনই মেয়ের ফোন আসে, মনে হয় বাড়ি চলে যাই। কিন্তু কাজ এখন বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’’ এই কাজে শঙ্করের সঙ্গে মাস ছয়েক আগে যোগ দিয়েছেন মহম্মদ হাকিকথ। তাঁর বাড়িও বিহারে। তবে কাজে যোগ দেওয়ার পরই ব্যস্ততা যে এত বেড়ে যাবে, তা ভাবেননি মহম্মদ।