আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে যুবকের স্ত্রী ও তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
খালের জলে চার বছরের সন্তানকে ছুড়ে ফেলেছিলেন। তার পর কোলে তিন বছরের সন্তানকে নিয়ে নর্মদার খালে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন এক যুবক। পরে ওই যুবক ও তাঁর দুই সন্তানের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের আমদাবাদের পারধোল গ্রামে।
আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ গত রবিবার ওই যুবকের স্ত্রী, তাঁর শাশুড়ি ও এক ব্যক্তির নামে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তাঁরা সকলেই গান্ধীনগরের বাসিন্দা। ছেলে ও দুই নাতির মৃত্যুর ঘটনায় এফআইআর দায়ের করেন যুবকের বাবা।
জানা গিয়েছে, বিনোদজি ঠাকুর নামে ২৭ বছর বয়সি ওই যুবক ও দুই সন্তানকে ছেড়ে গত মার্চ মাসে বাপের বাড়িতে চলে যান তাঁর স্ত্রী। ওই যুবকের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর বিবাহবিচ্ছেদের জন্য তাঁর কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করেন মধ্যস্থতাকারী হিসাবে গুগাজি ঠাকুর নামে এক ব্যক্তি। বিবাহবিচ্ছেদ না করলে স্ত্রী ও তাঁর পরিবারকে প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা বলা হয় যুবককে।
পেশায় শ্রমিক ওই যুবক কী ভাবে টাকা দেবেন, এ নিয়ে চিন্তায় ছিলেন বলে দাবি করেছেন তাঁর বাবা। গত ২১ নভেম্বর ছেলেদের নিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। গত ২২ নভেম্বর যুবকের এক সন্তানের দেহ উদ্ধার করা হয়। পরের দিন, অর্থাৎ ২৩ নভেম্বর ওই যুবক ও তাঁর আরও এক সন্তানের দেহ উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত যুবকের স্ত্রী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার খবর জানা যায়নি।