—প্রতীকী চিত্র।
ডাক্তারি পাশের শংসাপত্র নেই, এ দিকে ক্লিনিক খুলে বসেছিলেন ব্যক্তি। তাঁরই ভুল ইঞ্জেকশনে প্রাণ গেল যুবকের। জ্বর এবং কাশির সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের ক্লিনিকে গিয়েছিলেন যুবক। সেখানে তাঁকে একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই যুবকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় এবং তিনি মারা যান।
অভিযোগ, যুবকের মৃত্যুর পর তাঁর দেহ লুকিয়ে ফেলতে চেয়েছিলেন ওই ‘ভুয়ো’ চিকিৎসক। রাস্তার ধারে ফেলে এসেছিলেন দেহটি। দেহ উদ্ধারের পাঁচ দিনের মধ্যে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে পুলিশ। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে খুন-সহ একাধিক অপরাধের মামলা রুজু করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ‘চিকিৎসকের’ নাম হরিওম সাইনি। সাধারণ নার্সিংয়ের ডিপ্লোমা রয়েছে তাঁর। তিনিই চিকিৎসক সেজে দীর্ঘ দিন ধরে ক্লিনিক চালাচ্ছিলেন। তাঁর ক্লিনিকে গত সোমবার যান ওম প্রকাশ গুর্জর (৩৮)। জ্বর এবং কাশির সমস্যা ছিল তাঁর। অভিযোগ, রোগ নির্ধারণ না করেই যুবককে অপকারী ব্যাকটেরিয়া রোধের একটি ইঞ্জেকশন দিয়েছিলেন ‘চিকিৎসক’।
ইঞ্জেকশন নেওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই যুবকের শারীরিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। তাঁর রক্তচাপ কমে যায়, পাল্সের হারও ঠেকে তলানিতে। প্রথমে অচৈতন্য হয়ে পড়েছিলেন যুবক। পরে তাঁর মৃত্যু হয়।
যুবকের মৃতদেহটি রাতে রাস্তার ধারে গিয়ে ফেলে আসেন ওই ‘চিকিৎসক’। প্রমাণ লোপাটের চেষ্টাও করেন। পুলিশ মৃতদেহটি পরে উদ্ধার করে এবং মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে। পাঁচ দিনের মধ্যে এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজের সাহায্যে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। তিনি রোগীকে ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়ার কথা স্বীকারও করে নেন। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে।