খুনের ভয়ানক সেই দৃশ্য ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। ছবি সৌজন্য টুইটার।
ভরা বাজারের মধ্যে দিয়ে খালি পায়ে ছুটেছেন এক যুবক। তাঁর পিছনে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ছুটছে এক দল দুষ্কৃতী। ঠিক যেন দক্ষিণের কোনও সিনেমার দৃশ্য!যুবককে লক্ষ্য করে বেশ কয়েক বার অস্ত্র চালাতে দেখা গেল দুষ্কৃতীদের। পাল্টা ওই যুবকও নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টায় প্রাণপণে ছুটছিলেন। একটা সময় তাঁকে ঘিরে ফেলে দুষ্কৃতীরা। তার পর একের পর এক ধারালো অস্ত্রের কোপ পড়ে মাথায়, মুখে, হাতে, পায়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় যুবকের।
শিউরে ওঠা সেই ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। দেখে মনে হবে দক্ষিণের ছবির কোনও দৃশ্য! তবে এটা দক্ষিণের কোনও রাজ্য নয়, এটা পঞ্জাব। যে রাজ্যে গত ২৯ মে রাস্তার মধ্যে গুলি করে খুন করা হয়েছিল পঞ্জাবি গয়াক সিধু মুসে ওয়ালাকে। যে ঘটনায় গোটা রাজ্য এখনও উত্তপ্ত। তার ঠিক এক সপ্তাহের মধ্যেই সেই পঞ্জাবেই প্রকাশ্যে এক যুবককে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
ঘটনাটি মোগা জেলার বাধনি কালান এলাকার। নিহত যুবকের নাম দেশরাজ। পেশায় তিনি এক জন দিনমজুর। তাঁকে তাড়া করে বাজারের মধ্যে কুপিয়ে খুন করা হয় শুক্রবার। পুলিশ জানিয়েছে, দেশরাজের সঙ্গে হামলাকারীদের একটা ছোট বচসা হয়েছিল দিন কয়েক আগে। তার পর থেকেই দেশরাজের উপর হামলার ছক কষে দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার তাঁকে একা পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে তারা। এই ঘটনা বাজারের মধ্যে ঘটলেও পথচারীরা কেউ এগিয়ে যাননি দেশরাজকে বাঁচাতে। দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল ছাড়ার পরই বেশ কয়েক জন দেশরাজকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু তত ক্ষণে তাঁর মৃত্যু হয়েছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। তবে দুষ্কৃতীদের প্রত্যেকেরই মুখ ঢাকা ছিল। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করেছে পুলিশ।
মুসে ওয়ালা খুনের ছ’দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তার মধ্যেই এই ঘটনা ভগবন্ত মানের সরকারকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।