প্রতীকী ছবি।
সাপের কামড়ে যন্ত্রণায় ছটফট করছেন স্বামী। সেই অবস্থাতেই কামড়ে দিলেন স্ত্রীর হাতে। সেই কামড়ে জখম হন স্ত্রী। দু’জনকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে সর্পদষ্ট স্বামীর মৃত্যু হয়। যদিও প্রাথমিক চিকিত্সার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে স্ত্রীকে।
কিন্তু, ওই অবস্থায় স্বামী হঠাত্ কেন স্ত্রীকে কামড়ে দিলেন?
বিহারের বীরসিংহপুর গ্রামের বাসিন্দা আমিরি দেবী জানিয়েছেন, গত শনিবার রাতে খাওয়াদাওয়ার পর স্বামী শঙ্কর রাই এবং তিনি শুতে গিয়েছিলেন। একটু পরে ঘুমিয়েও পড়েন তিনি। হঠাত্ শঙ্করের গোঙানিতে ঘুম ভাঙে তাঁর। আমিরি দেবী উঠে দেখেন, স্বামীকে সাপে কামড়েছে। প্রবল যন্ত্রণায় বিছানাতেই ছটফট করছেন। শঙ্করকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, কোনও বিষধর সাপই কামড়েছে। শরীর প্রায় কুঁকড়ে এসেছে। সেই সময় আমিরি দেবীকে জড়িয়ে ধরে নাকি শঙ্কর বলতে থাকেন, স্ত্রীকে ছাড়া তিনি মরেও শান্তি পাবেন না! তাই একসঙ্গে ‘মরা’র কথা জানান স্ত্রীকে। আমিরি দেবীও স্বামীর কথায় সায় দেন। এর পরেই শঙ্কর স্ত্রীর হাতের কব্জিতে কামড়ে দেন। ভাবেন, এতে তাঁর শরীরের বিষ স্ত্রীর দেহে স্থানান্তরিত হবে এবং আমিরি দেবীর মৃত্যু হবে।
আরও পড়ুন
অভাবে কেটেছে ছোটবেলা, গরিবদের ১ টাকায় পেট ভরা লাঞ্চ দেন ইনি
অন্য দিকে, সাপে কাটা স্বামীর কামড় খেয়ে আমিরি দেবী জখম হয়ে অসুস্থ বোধ করতে থাকেন। ভাবেন, স্বামীর শরীরের বিষ তাঁর দেহে চলে এসেছে। এর পর তাঁদের চিত্কারে পরিবারের বাকিরা ছুটে এসে দ্রুত ওই দম্পতিকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে শঙ্করের মৃত্যু হয়। তবে, আমিরি দেবী প্রাথমিক চিকিত্সরা পর সুস্থ হয়ে ওঠেন। পরে তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে খুবই ভালবাসতেন শঙ্কর। ছেড়ে যেতে পারবেন না বলে জানানোয় তিনি শঙ্করের কথায় ‘না’ বলতে পারেননি।
কিন্তু, সাপে কাটা রোগীর কামড়ে কি কেউ মারা যেতে পারে?
চিকিত্সকেরা জানিয়েছেন, এমনটা হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। কারণ সাপে কাটা রোগীর দাঁত বাহিত হয়ে বিষ অন্য দেহে প্রবেশ করতে পারে না।