উত্তরপ্রদেশে শ্যালিকাকে খুনের অভিযোগ যুবকের বিরুদ্ধে। —প্রতীকী চিত্র।
স্ত্রীর বোনের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন যুবক। কিন্তু স্ত্রীকে ছাড়তে প্রস্তুত ছিলেন না। দিদির সঙ্গে বিচ্ছেদের জন্য চাপ দেওয়ায় বোনকে খুন করলেন তিনি। পুড়িয়ে দিলেন শ্যালিকার দেহ। নিজের দুই বন্ধুর সহযোগিতায় যুবক এই কাজ করেছেন। ঘটনার ১০ দিনের মাথায় তাঁকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
উত্তরপ্রদেশের মেরঠের ঘটনা। মৃত তরুণীর নাম প্রিয়ঙ্কা। তাঁর দিদির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল আশিস সিংহের। গত ২১ জানুয়ারি শ্যালিকাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান তিনি। তার পর আর তরুণী বাড়ি ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাঁর বাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে একটি খালের ধার থেকে তরুণীর আধপোড়া দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শুক্রবার অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তরুণীর বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন, ২১ তারিখ দুপুরে তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর জামাই। রাত হয়ে যাওয়ার পরেও তরুণী বাড়ি না-ফেরায় জামাইকেই প্রশ্ন করেন বাবা। যুবক জানিয়েছিলেন, বিকেলেই শ্যালিকাকে তিনি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছিলেন।
দীর্ঘ ক্ষণ খোঁজাখুঁজির পরেও কন্যার সন্ধান পাননি বাবা। আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসা করে তিনি জানতে পারেন, জামাই এবং আরও দুই যুবকের সঙ্গে তরুণীকে শেষ বার দেখা গিয়েছিল। এর পরেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। প্রথমে অভিযুক্ত ভুল তথ্য দিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করছিলেন বলে অভিযোগ। পরে জেরার মুখে তিনি খুনের কথা স্বীকার করে নেন।
পুলিশ জানতে পেরেছে, শ্যালিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল যুবকের। সম্প্রতি তাঁকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন তরুণী। দিদির সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করে তাঁকে বিয়ে করতে হবে, দাবি জানান তরুণী। এর পরেই তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়। যে দুই বন্ধু যুবককে এই কাজে সহায়তা করেছেন, তাঁরা ফেরার। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। পাশাপাশি, এই খুনের নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।