ধর্ষণ ও ধর্মান্তরণের জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার। প্রতীকী ছবি।
কিশোরীকে ধর্ষণের পর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলেন যুবক, তবে একটি শর্তে। বিয়ের জন্য ওই কিশোরীকে ধর্ম পরিবর্তন করতে হবে। নাবালিকাকে ধর্ষণ ও ধর্মান্তরণের জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগে যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঘটনাটি কর্নাটকের। অভিযুক্ত যুবকের নাম ইউনুস পাশা ওরফে ফয়াজ় মহম্মদ। অভিযোগ, পাড়ারই এক ১৩ বছরের কিশোরীর সঙ্গে তিনি ঘনিষ্ঠ হয়েছিলেন। কিশোরীকে লুকিয়ে একটি স্মার্টফোনও উপহার দেন যুবক। সেই ফোনের মাধ্যমে দু’জন ভিডিয়ো কলে কথা বলতেন। এই ভিডিয়ো কলেই কিশোরীর বেশ কিছু অশ্লীল ছবি তিনি তুলে নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এর পর সেই ছবি দেখিয়ে চলত ব্ল্যাকমেল।
পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরীকে ভয় দেখিয়ে জোর করে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন যুবক। কিশোরী তাতে রাজি না হওয়ায় ধর্ষণ করা হয় তাঁকে। অভিযোগ, কিশোরীর পরিবারের লোকজন তাকে ঠাকুমার কাছে রেখে কিছু দিনের জন্য ঘুরতে গিয়েছিলেন। তখন বাড়িতে ঢুকে ঠাকুমাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে মেয়েটির উপর চড়াও হন যুবক। ধর্ষণের পর কিশোরীকে তিনি বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আশ্বস্ত করেন। তবে ধর্ম পরিবর্তন না করলে বিয়ে করবেন না বলে জানান তিনি। কিশোরীকে ধর্মান্তরণের জন্য চাপও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
বিপদ বুঝে পরিবারের সকলকে সব কথা খুলে বলে নাবালিকা কিশোরী। তাঁর বাবা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ওই যুবক বিবাহিত। তাঁর স্ত্রী এবং সন্তান রয়েছে। যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ধর্মান্তর-বিরোধী আইনেও মামলা রুজু হয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।