ধর্মপরিচয় লুকিয়ে বিয়ে করতে গিয়ে প্রেমিকার হাতে ধরা পড়ে যান এক যুবক। তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডার।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম হাসিন সৈফি। অভিযোগ, পাত্রীপক্ষের কাছে তিনি নিজেকে আশিস ঠাকুর বলে পরিচয় দেন। বিয়ের দিনক্ষণও স্থির হয়ে গিয়েছিল। সোমবার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু তার আগেই রবিবার যুবকের মিথ্যার পর্দা ফাঁস করেন তরুণী। এর পরই আশিসের বিরুদ্ধে জোর করে ধর্মান্তরণ, ধর্ষণ, প্রতারণা-সহ একাধিক অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। তার পরই গ্রেফতার করা হয় ওই যুবককে।
পুলিশ জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের দাদরিতে থাকাকালীন অভিযোগকারিণীর সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় হাসিনের। তরুণী একটি চাকরি করতেন। কিন্তু সেই চাকরি চলে যায় তাঁর। এই সুযোগে তরুণীর সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তার পর তরুণীকে নিয়ে দাদরির এসকর্ট কলোনিতে ফ্ল্যাট ভাড়া করে চলে যান হাসিন। গ্রেটার নয়ডার অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার দীনেশ কুমার জানিয়েছেন, তরুণী অভিযোগ করেছেন যে, তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও গড়েন অভিযুক্ত যুবক। শুধু তাই-ই নয়, তরুণীর অশ্লীল ভিডিয়ো দেখিয়ে বিয়ে করার জন্য ব্ল্যাকমেল করতেন।
রবিবার হাসিনের বাবা ছেলের খোঁজ করতে এসকর্ট কলোনিতে আসেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, যে আবাসনে হাসিন আশিস পরিচয়ে থাকতেন, সেই আবাসনের খোঁজ করেন হাসিনের বাবা শাকিল সৈফি। কিন্তু স্থানীয়রা জানান, হাসিন নয়, এখানে আশিস বলে এক যুবক থাকেন। আর এই ঘটনার পরই আশিসের আসল পরিচয় জানতে পারেন তরুণী। তখন তরুণী উপলব্ধি করেন যে, তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। ধর্মপরিচয় লুকিয়ে বিয়ে করার চেষ্টা করেছেন তাঁর সঙ্গী। তার পরই হাসিনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী।