৯০ বছরের বৃদ্ধা মা এবং ৬২ বছরের বোনকে খুনের অভিযোগ প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে। —প্রতীকী চিত্র।
সম্পত্তির লোভে ৯০ বছরের বৃদ্ধা মাকে খুন করলেন প্রৌঢ়। গলা টিপে মেরে জ্বালিয়ে দিলেন ৬২ বছরের বোনকেও। প্রাথমিক ভাবে দুই বৃদ্ধার মৃত্যু অস্বাভাবিক মনে করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ কেঁচো খুঁড়তে গেলে বেরিয়ে আসে কেউটে। জানা যায়, অস্বাভাবিক মৃত্যু নয়, দু’জনকেই খুন করা হয়েছে। বৃদ্ধার পুত্র এবং নাতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ওড়িশার সম্বলপুরের। নিহত বৃদ্ধার নাম স্নেহলতা দীক্ষিত (৯০)। তাঁর কন্যা সৈরেন্দ্রী দীক্ষিতকেও (৬২) খুন করা হয়েছে। মা এবং মেয়ের দগ্ধ দেহ একসঙ্গে উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁরা দু’জনেই বাড়ির দোতলায় থাকতেন। সেখানে আগুন দেখে স্থানীয়েরা পুলিশকে খবর দিয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল, দোতলায় কোনও ভাবে আগুন লেগে দুই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।
সম্বলপুরের এএসপি অজয় মিশ্র বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে গত ৫ নভেম্বরের এই ঘটনাটিকে অস্বাভাবিক মৃত্যু হিসাবে দেখা হচ্ছিল। রাত সাড়ে ১০টা-১১ নাগাদ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং দু’টি দেহ উদ্ধার করে। কিন্তু পরে পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, এটি খুনের ঘটনা। বৃদ্ধার পুত্র জগন্নাথ দীক্ষিত এবং নাতি তথা জগন্নাথের পুত্র সঙ্কেতকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
সম্পত্তির বিবাদের কারণে পূর্বপরিকল্পিত ভাবেই বৃদ্ধা এবং তাঁর কন্যাকে খুন করা হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রথমে তাঁদের গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। তার পর দেহ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। মৃত্যুর আসল কারণ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে স্পষ্ট হবে, জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। মৃত বৃদ্ধার অপর কন্যা ভাই এবং ভাইপোর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন।