Kidnap

অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছিল দুষ্কৃতীরা, ব্যস্ত রাস্তায় অপহরণকারীদের গাড়ি দুর্ঘটনাই বাঁচাল অপহৃতদের

পুলিশকে সুভাষ জানান, সুরজপুর বাজারের সামনে সাদা রঙের একটি গাড়ি তাঁদের রাস্তা আটকে দাঁড়ায়। তার পর গাড়ি থেকে চার জন নেমে তাঁদের জোর করে গাড়িতে তুলে নেয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২৩ ১১:০৫
Share:

দুর্ঘটনার পরই গাড়ি ছেড়ে পালায় অপহরণকারীরা। ছবি: সংগৃহীত। ছবি: সংগৃহীত।

এক ব্যক্তি এবং তাঁর দুই সন্তানকে রাস্তা থেকে অপহরণ করে দুষ্কৃতীরা। কিন্তু ব্যস্ত রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার মুখে পড়ে অপহরণকারীদের গাড়ি। আর সেই দুর্ঘটনাই অপহরণের হাত থেকে বাঁচাল ওই ব্যক্তি এবং তাঁর দুই সন্তানকে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গৌতম বুদ্ধ নগরে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, স্কুল থেকে পুত্র এবং কন্যাকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন সুভাষ কাশ্যপ নামে এক ব্যক্তি। স্কুল থেকে কিছুটা দূরেই তাঁদের পথ আটকে দাঁড়ায় একটি এসইউভি। গাড়ি থেকে নেমে আসেন চার দুষ্কৃতী। তার পর সুভাষ এবং তাঁর সন্তানদের জোর করে নিজেদের গাড়িতে তুলে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ওই এলাকা ঘিঞ্জি এবং রাস্তাটিতে সর্ব ক্ষণ যানবাহনের ভিড় থাকায় গাড়ির গতি কমাতে হচ্ছিল অপহরণকারীদের।

সেই ভিড় পাশ কাটিয়ে গাড়ি নিয়ে দ্রুত গতিতে চম্পট দেওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অন্য একটি গাড়িকে ধাক্কা মারে। আর ধাক্কা মারতেই স্থানীয়েরা ছুটে আসেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে চার দুষ্কৃতী সুভাষ এবং তাঁর সন্তানদের গাড়িতে ফেলে রেখেই পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের কাছে সুভাষ গোটা ঘটনা জানান। তার পর তাঁদের উদ্ধার করা হয়। খবর দেওয়া হয় পুলিশেও।

Advertisement

পুলিশকে সুভাষ জানান, সুরজপুর বাজারের সামনে সাদা রঙের একটি গাড়ি তাঁদের রাস্তা আটকে দাঁড়ায়। তার পর গাড়ি থেকে চার জন নেমে তাঁদের জোর করে গাড়িতে তুলে নেয়। চিৎকার করার চেষ্টা করলে তাঁদের শাসানো হয় এবং মারধরও করা হয়। সুভাষের দাবি, অপহরণ করে তাঁদের দাদরিতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল দুষ্কৃতীদের। কিন্তু স্কুল থেকে ৫০০ মিটার দূরেই গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বিপদ আঁচ করে অপহরণকারীরা সুভাষদের ফেলে রেখে পালায়। পুলিশকে সুভাষ জানিয়েছেন, যে চার জন তাঁদের অপহরণ করার চেষ্টা করেছিল, তাদের মধ্যে দু’জনকে চিনতে পেরেছেন। তারা হল রোহিত এবং আকাশ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই দু’জনের সঙ্গে মাস দুয়েক আগে সুভাষের ঝামেলা হয়েছিল। ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণেই এই ঘটনা বলে তদন্তকারীরা মনে করছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement