শাদাবকে তা হলে খুন করল কারা? এই উত্তর খুঁজতে যখন পুলিশ ব্যস্ত, তখনই তারা হদিশ পায় ইরফান নামে এক ব্যক্তির। তিনি হাপুরের বাসিন্দা। তদন্তে নেমে পুলিশ ইরফান খুনের সঙ্গে শাদাবের খুনের একটি যোগসূত্র খুঁজে পায়।
তিন শার্প শ্যুটারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে গত ৮ মে খুন হয়েছিলেন শাদাব নামে এক চিকিৎসক। তাঁর ক্লিনিকে ঢুকে দুষ্কৃতীরা তাঁকে গুলি করে খুন করে। পুলিশ জানায়, শাদাবকে লক্ষ্য করে ৩১টি গুলি করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শাদাবের। পুরনো শত্রুতার জেরেই এই খুন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে, এক জনকে মারতে একটি গুলিই তো যথেষ্ট। কিন্তু শাদাবকে খুন করতে ৩১টি গুলি করা হল কেন? তা হলে কি এই সংখ্যার পিছনে কোনও রহস্য আছে? সেই জট খুলতে গিয়ে পুলিশের হাতে উঠে আসে পুরনো একটি খুনের মামলা। ঘটনাচক্রে সেই খুনের সঙ্গে জড়িত ছিল শাদাবের ভাই রাগিব দাসনা। বর্তমানে সেই খুনের অভিযোগে জেল খাটছে সে।
কিন্তু শাদাবকে তা হলে খুন করল কারা? এই উত্তর খুঁজতে যখন পুলিশ ব্যস্ত, তখনই তারা হদিশ পায় ইরফান নামে এক ব্যক্তির। তিনি হাপুরের বাসিন্দা। তদন্তে নেমে পুলিশ ইরফান খুনের সঙ্গে শাদাবের খুনের একটি যোগসূত্র খুঁজে পায়। গত ১৮ মার্চে ইরফানকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। তাঁকে খুন করে দেহ ৩১ টুকরো করা হয়। সেই ঘটনায় তোলপাড় হয় হাপুর।
ইরফানকে খুনের অভিযোগ ওঠে শাদাবের ভাই রাগিব দাসনার বিরুদ্ধে। পুলিশ তাকে গ্রেফতারও করে। কিন্তু জামাইবাবুর ইরফানের খুনের বদলা নেওয়ার জন্য তলে তলে প্রস্তুতি নিচ্ছিল তাঁরই শ্যালক কাসিফ। পুলিশ জানিয়েছে, জামাইবাবুর হত্যার বদলা নিতে কয়েক জন শার্প শ্যুটারকে ভাড়া করেছিল কাসিফ। সেই শ্যুটাররাই শাদাবকে গুলি করে খুন করে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য যে বিষয় তা হল, শাদাবকে ৩১টি গুলি করা হয়েছিল। তা থেকেই পুলিশের ধারণা, ইরফানকে যে ভাবে ৩১ টুকরো করা হয়েছিল, ঠিক একই কায়দায় সেই সংখ্যার গুলি ছুড়ে খুন করা হয় শাদাবকে। ঘটনাচক্রে, রাগিবকে না পেয়ে শাদাবকেই খুন করে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ তিন শার্প শুটারকে গ্রেফতার করেছে। কাসিফের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।