বাড়ির পিছনে একটি গর্ত থেকে মহিলা এবং তাঁর দুই সন্তানের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
১১ লক্ষ টাকার জীবনবিমা করানো ছিল দাদার। তাঁর মৃত্যুর পর সেই টাকা হাতাতে বৌদি এবং দুই ভাইপোকে খুনের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঝাড়খণ্ডের গুমলা জেলার লুংটু গ্রামের।
পুলিশ সূত্রে খবর, স্বামীর মৃত্যুর পর ১১ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন পুনম কান্ডুলনা। সেই টাকার উপর চোখ পড়েছিল পুনমের দেওর এনোসের। টাকার ভাগ দেওয়ার জন্য বৌদিকে চাপ দেওয়া শুরু করেন তিনি। ফলে বিষয়টি নিয়ে দেওর এবং বৌদির মধ্যে নিত্য দিন অশান্তি লেগে থাকত। বুধবার রাতে বিষয়টি চরমে ওঠে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই দিন রাতে পুনম এবং এনোসের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। তখন রাগের বশে পুনমের মাথায় এনোস কুড়ুল দিয়ে জোরে আঘাত করেন বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পুনমের। কাকার হাতে মায়ের খুন হওয়ার ঘটনাটি দেখে ফেলে পুনমের দুই সন্তান। অভিযোগ, সেই তথ্য যাতে ফাঁস না হয়ে যায়, তাই দুই শিশুকে পিটিয়ে খুন করেন এনোস। তার পর বাড়ির পিছনে গর্ত খুঁড়ে তিনটি দেহ পুঁতে দেন।
কয়েক দিন ধরে পুনম এবং তাঁর সন্তানদের দেখতে না পাওয়ায় সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তখন তাঁরা বিষয়টি পঞ্চায়েতে জানান। পঞ্চায়েত থেকে ডেকে পাঠানো হয় এনোসকে। খবর দেওয়া হয় পুলিশকেও। জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ভেঙে পড়েন এনোস। তখন তিনি খুনের কথা স্বীকারও করেন বলে এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন। তার পর এনোসকে সঙ্গে নিয়েই বাড়ির পিছন থেকে তিন জনের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।