Man forced to drink Urine

কর্মীকে আটকে রেখে প্রস্রাব খেতে বাধ্য করা হল! মধ্যপ্রদেশে অভিযোগ উঠল কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে

মহেশ সাহু নামে এক কারখানা মালিকের বিরুদ্ধে আটকে রাখার অভিযোগ তোলেন রঞ্জিৎ। গত মাসের সেই ঘটনায় পুলিশের কাছে দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

ভোপাল শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৩ ১৩:৩৯
Share:

আক্রান্ত যুবক রঞ্জিৎ লোঢী। ছবি: সংগৃহীত।

এক কর্মীকে তিন দিন ধরে আটকে রেখে জোর করে প্রস্রাব খাওয়ানোর অভিযোগ উঠল এক কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে। মধ্যপ্রদেশের ঘটনা।

Advertisement

আক্রান্ত কর্মীর নাম রঞ্জিৎ লোঢী। তাঁর দাবি, পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলেও তারা তা নিতে অস্বীকার করে। শেষমেশ কংগ্রেস নেতাদের দ্বারস্থ হন রঞ্জিৎ। তাঁকে নিয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন কংগ্রেস নেতারা। কিন্তু সম্মেলনের ঠিক আগেই কংগ্রেস নেতাদের হাতে একটি ভিডিয়ো পৌঁছয়। সেই ভিডিয়োতে এক যুবককে মারধরের ঘটনায় রঞ্জিৎ সিংহকে দেখা যায়। এই ভিডিয়ো দেখার পরই কংগ্রেস নেতারা রঞ্জিতের পাশ থেকে সরে দাঁড়ান।

মহেশ সাহু নামে এক কারখানা মালিকের বিরুদ্ধে আটকে রাখার অভিযোগ তোলেন রঞ্জিৎ। গত মাসের সেই ঘটনায় পুলিশের কাছে দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। রঞ্জিতের দাবি, এক মন্ত্রী এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করায় পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছে। বার বার পুলিশের কাছে গিয়েও যখন কোনও লাভ হয়নি, তখন রঞ্জিৎ ভোপালে কংগ্রেস নেতাদের কাছে যান।

Advertisement

কংগ্রেস নেতারা এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করে রঞ্জিৎকে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন ডাকেন। এ পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু গোল বাধল একটি ভিডিয়োকে কেন্দ্র করে। মনোজ আহিরওয়ার নামে এক যুবককে শস্য চুরির অভিযোগে মারধর করা হয়েছিল কয়েক দিন আগে। সেই ঘটনায় যাঁরা যুক্ত ছিলেন তাঁদের মধ্যে রঞ্জিৎ ছিলেন অন্যতম। রঞ্জিতের বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা কংগ্রেস নেতারা জানার পরই তাঁর পাশ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার মনোজ আহিরওয়াড় থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন, সেই তালিকায় রঞ্জিতেরও নাম রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement