মুসলিম যুবকের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট। — ফাইল চিত্র।
ভিনধর্মী একত্রবাসের সঙ্গীকে ধর্ষণ এবং অপহরণের অভিযোগ উঠেছিল যুবকের বিরুদ্ধে। তরুণীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। সেই যুবকের জামিনের আর্জি মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট।
বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কল এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ জানাল, ভিনধর্মী ওই তরুণ এবং তরুণী সহমত হয়েই একত্রবাসের চুক্তি করেছিলেন। পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে যৌথ ভাবে আবেদনও করেছিলেন তাঁরা। তাছাড়া অভিযুক্ত যুবক গত ৯ মাস ধরে জেলে রয়েছেন। এই তিন বিষয় খতিয়ে দেখে যুবকের জামিনের আর্জি মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট।
অভিযুক্ত যুবকের আবেদন থেকে জানা গিয়েছে, তরুণী তাঁর পাশের বাড়িতে থাকতেন। তাঁরা একে অপরকে ভালবাসতেন। অভিযুক্ত যুবক মুসলিম। তরুণী হিন্দু। সে কারণে তাঁদের সম্পর্ক মেনে নেয়নি তরুণীর পরিবার। এর পর ওই যুবকের সঙ্গে তরুণী বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। ২০২২ সালের ২৫ অগস্ট চুক্তি করে একত্রবাস শুরু করেন ওই হিন্দু তরুণী এবং মুসলিম তরুণ। যে দিন তাঁরা পালিয়েছিলেন, তার পরের দিনই তরুণীর বাবা থানায় মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার ডায়েরি করেন। এর পর ওই মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন তরুণীর বাবা। অভিযোগ করেন, যুবক তাঁর মেয়েকে অপহরণ এবং ধর্ষণ করেছেন।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে ২২ বছরের যুবকেক গ্রেফতার করা হয়। তিনি জামিনের আবেদন করলে তা খারিজ করে রাজস্থান হাই কোর্ট। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন যুবক। সেখানে তাঁর আইনজীবী নমিত সাক্সেনা জানান, তরুণীর বয়ান থেকে স্পষ্ট, দু’জনে সহমত হয়েই একত্রবাস শুরু করেছিলেন। এর পরেই সুপ্রিম কোর্ট জামিন দেয় যুবককে। বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘‘২০২২ সালের ২৫ জুন সহমত হয়ে একত্রবাসের চুক্তি করেছিলেন তাঁরা। দু’জনে যৌথ ভাবে পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছিলেন। আর গত ন’মাস ধরে জেলে রয়েছেন যুবক। এই তিন বিষয়ের ভিত্তিতেই জামিন দেওয়া হল অভিযুক্তকে।’’