প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে আসছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
যোজনা কমিশন তুলে দিয়ে তার বদলে নতুন প্রতিষ্ঠান গঠন নিয়ে আলোচনা করতে রবিবার সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসছেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু সেই বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি আসছেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বদলে পাঠাচ্ছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে। কেন্দ্রে নতুন সরকার গঠনের পর এখনও পর্যন্ত দিল্লি এসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেননি মমতা।
কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্রের বক্তব্য, রবিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রথমে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। মধ্যাহ্নভোজনের পরে তিনি ফের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলবেন। সেখানে ধরাবাঁধা কোনও আলোচ্য বিষয়বস্তু রাখা হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলাদা করেও কথা বলতে চান মোদী। সরকারি সূত্রের খবর, সেখানে তিনি জানতে চাইবেন কোন রাজ্যে কী ধরনের সংস্কারের কাজ হচ্ছে, বিনিয়োগ টানতে কে কী করছেন এবং কেন্দ্র কী ভাবে সাহায্য করতে পারে-র মতো বিষয়।
যোজনা কমিশন তুলে দিয়ে মোদী যে নতুন প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে চাইছেন, সেখানে রাজ্যগুলিকে আরও বেশি ক্ষমতা দিতে চান তিনি। আজ লোকসভায় বিষয়টি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আগামী পাঁচ-দশ বছরে নতুন প্রতিষ্ঠান কী ভাবে কাজ করবে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হচ্ছে। ৭ তারিখ সব মুখ্যমন্ত্রীকে ডেকেছি। তাঁদের সঙ্গেও পরামর্শ করব।”
আনুষ্ঠানিক ভাবে যোজনা কমিশন তুলে দিতে চাইলেও উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে মোদী সরকার কিন্তু তার কাজ পুরোপুরি বন্ধ করতে চাইছে না। যোজনা দফতরের মন্ত্রী রাও ইন্দরজিৎ সিংহের বক্তব্য, যোজনার বিষয়টি এখনও দেশের অর্থনীতিতে প্রাসঙ্গিক। তবে দেশের অর্থনীতিতে বড় বদল এসেছে। বিদেশি বিনিয়োগের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি সংস্থাগুলি এখন আর্থিক বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে। কেন্দ্র এখন শুধু অর্থ বরাদ্দ করে না, বেসরকারি বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশও তৈরি করে। সে সব মাথায় রেখেই আগামী দিনে কাজ হবে।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে লাল কেল্লা থেকে প্রথম বার স্বাধীনতা দিবসের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেই নেহরুর আমলের যোজনা কমিশন তুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মোদী। আজ লোকসভায় এই বিষয়ে নিজের উৎসাহের কথাও বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। বস্তুত সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এই প্রথম যোগ দিলেন মোদী। প্রসঙ্গত ক’দিন আগেই বিরোধীরা তাঁর একের পর এক বিদেশযাত্রা নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন।