National News

মমতার প্রাণনাশের আশঙ্কা নিয়ে সংসদে সরব তৃণমূল, তদন্তের নির্দেশ কেন্দ্রের

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমানকে দীর্ঘক্ষণ অবতরণের অনুমতি না দেওয়ার বিষয়টি এ বার উঠে এল সংসদের আলোচনাতেও। দুই সভাতেই বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল সাংসদরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৪:১৮
Share:

—ফাইল চিত্র।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমানকে দীর্ঘক্ষণ অবতরণের অনুমতি না দেওয়ার বিষয়টি এ বার উঠে এল সংসদের আলোচনাতেও। দুই সভাতেই বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল সাংসদরা। বুধবার রাতের ঘটনা প্রমাণ করছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাণনাশের আশঙ্কা রয়েছে, লোকসভায় জানিয়েছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যসভায় ডেরেকের প্রশ্ন, যা খালি চোখে দেখা গেল, তার নেপথ্যে কি আরও গভীর কিছু রয়েছে? অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement

বুধবার রাতে যে বেসরকারি বিমানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পটনা থেকে কলকাতা ফিরছিলেন, সেটি নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক ঘণ্টা পরে পটনা থেকে উড়েছিল। কলকাতার আকাশে ঢোকার পর বিমানবন্দরে অবতরণের অনুমতি মেলেনি, কারণ রানওয়ে খালি পাওয়া যাচ্ছিল না। বিমানটির পাইলট এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলকে জানিয়েছিলেন, বিমানে জ্বালানি কম রয়েছে, দ্রুত অবতরণ করা দরকার। তা সত্ত্বেও আধ ঘণ্টা বা তারও বেশি ক্ষণ ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমানকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাথার উপরে চক্কোর কাটতে হয়। বিমানটি দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়ে পড়তে পারে ধরে নিয়ে আপৎকালীন ব্যবস্থাও তৈরি রেখেছিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় আজ বিষয়টি উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, ‘‘বিমানটি দুর্ঘটনাগ্রস্ত হতে চলেছিল। আমরা এটা জানিয়ে রাখতে চাই যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাণনাশের আশঙ্কা রয়েছে।’’

Advertisement

রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের সুর ছিল আরও শানিত। তিনি বলেন, ‘‘খালি চোখে যা দেখা গেল, পর্দার আড়ালে তার চেয়েও বেশি কিছু নেই তো?’’ ডেরেক এর পর আরও স্পষ্ট করে বলেন, ‘‘একটা ধারণা তৈরি হয়েছে যে এটা একটা ষড়যন্ত্র।’’

আরও পড়ুন: কলকাতায় এসে বিভ্রাটের মুখে মুখ্যমন্ত্রীর বিমান

শুধু সংসদে বিষয়টি উত্থাপন করেই অবশ্য তৃণমূল থামছে না। দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সংসদের পরিবহণ, পর্যটন ও সংস্কৃতি সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মুকুল রায় কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী অশোক গজপতি রাজুকে কড়া চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে মুকুল রায় লিখেছেন, ‘‘একটি আপৎকালীন পরিস্থিতিতে কলকাতা বিমানবন্দরের এটিসি যে চূড়ান্ত অসংবেদনশীলতা দেখাল, তাতে আমরা বিস্মিত এবং এতে মাঝ আকাশেই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটতে পারত।’’ কলকাতা বিমানবন্দরের এটিসি-র এই আচরণের পিছনে ঠিক কী কারণ ছিল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করার দাবি জানিয়েছেন মুকুল রায়। এই চিঠি পাওয়ার ১৫ দিন থেকে এক মাসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের দাবিও তিনি জানিয়েছেন।

জ্বালানি কম থাকার কথা জানানো সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমান যে ভাবে দীর্ঘ ক্ষণ আকাশে চক্কোর কাটতে বাধ্য হয়েছে, তাকে লঘু করে দেখতে পারছে না দেশের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকও। অবতরণের জন্য কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করার মতো অতিরিক্ত জ্বালানি পর পর তিনটি বিমানে ছিল না বলে জানা গিয়েছে। কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হল, তা তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী অশোক গজপতি রাজু।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement