নীতি আয়োগের বৈঠকে চার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মোদী। ছবি: পিটিআই।
ফেডারেল ফ্রন্টের জল্পনা এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের হয়ে গলা ফাটানো। দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠকেও কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের ছবিটা স্পষ্ট হয়ে গেল।
অরবিন্দ কেজরীবালের সমর্থনে শনিবার দিল্লিতে এসেই গলা চড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়। আর রবিবার নীতি আয়োগের বৈঠকের ফাঁকেই তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কেরলের পিনারাই বিজয়ন, অন্ধ্রের চন্দ্রবাবু নাইডু এবং কর্নাটকের কুমারস্বামী। দিল্লির অচলাব্স্থা মেটানোর জন্য তাঁরা মোদী এবং রাজনাথের কাছে দাবি জানান। তাঁদের অভিযোগ, আমলাদের অলিখিত ধর্মঘটের জেরে দিল্লিতে বেনজির সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে।
রবিবার নীতি আয়োগের বৈঠকে হাজির ছিলেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। আমলা এবং উপরাজ্যপালের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে তিনি ধর্না চালিয়ে যাচ্ছেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বলেন, দিল্লিতে সঙ্কটের জন্য সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়ছেন। আমরা চাই দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হোক।
আরও পড়ুন: রমজান শেষ, কাশ্মীরে ফের অল আউট অপারেশন, জানিয়ে দিল কেন্দ্র
আরও পড়ুন: ছেলের নিষ্কৃতিমৃত্যু চাইলেন রাজীব হত্যাকারীর মা
দিল্লিতে জোট বেঁধে চার মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে মোদী সরকারে উপর চাপ বাড়িয়েছেন, তাকে তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। নীতি আয়োগের বৈঠকে কিন্তু রাজ্য সরকারগুলোর প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ‘‘নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তা প্রশংসার দাবি রাখে।’’