গত কালই ধর্নামঞ্চ থেকে জানিয়েছিলেন— কেন্দ্র থেকে বিজেপিকে উৎখাত করতে এ বার লড়াই হবে রাজধানীতে। এর পরে আগামী সপ্তাহের গোড়াতেই দিল্লি আসছেন তিনি।
পাশাপাশি জাতীয় স্তরে সমস্ত বিরোধী দলগুলিও প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে সম্ভাব্য ১৩ ফেব্রুয়ারির প্রতিবাদ সমাবেশের। কংগ্রেসের তরফ থেকে চেষ্টা চলছে সদ্য জেতা রাজ্যগুলির কংগ্রেসী মুখ্যমন্ত্রীদের সমাবেশে আনার। মমতা এবং কংগ্রেস ছাড়াও সেখানে থাকবেন টিডিপি, আরজেডি, এসপি, বিএসপি ও এনসিপি-র শীর্ষ নেতারা। তৃণমূল সূত্রের বক্তব্য, প্রতিবাদ ধর্নায় স্লোগান হবে— ‘যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো, সংবিধান, গণতন্ত্র এবং কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে বাঁচানোর লড়াইয়ে সবাই একজোট হোন।’ তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে গত কাল এসপি নেতা অখিলেশ যাদব মমতাকে একটি চিঠি লিখে পশ্চিমবঙ্গের উপর ‘কেন্দ্রীয় আক্রমণের’ নিন্দা করেছেন। অখিলেশ বলেছেন, ‘‘বাংলার উপর আক্রমণ শুধু সংবিধানের নীতিমালা অথবা নির্দেশের উপরই আঘাত নয়, ভারত গড়ার কারিগরদের স্বপ্নকেও আঘাত করা।’’
সিবিআই-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক হিংসা চরিতার্থের অভিযোগ সমাবেশে তুলবেন মমতা ছাড়াও এসপি-বিএসপি নেতারা।
আরও পড়ুন: পাল্টা হলফনামা পেশ করতে পারেন রাজীব
তার আগে আজ সনিয়া গাঁধীর জামাই রবার্ট বঢরাকে ইডি-র ডেকে পাঠানো প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘তারা নির্বাচনের আগে ইচ্ছাকৃত ভাবে এটা করছে। আমরা নির্বাচন কমিশনে প্রতিনিধি পাঠাব। নির্বাচনের আগে, যখন সরকার ১৫-২০ দিনের মধ্যে বিদায় নেবে, তখন কী করে বিরোধী দলগুলিকে নোটিস পাঠায়? কোনও গুরুতর মামলা নয়। সাধারণ মামলায় এমনি এমনি নোটিস পাঠাচ্ছে এবং বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ধারা দেওয়া হচ্ছে। বৃহত্তর ষড়যন্ত্র কী? এটা একটা ভুল শব্দ!’’ মমতা বলেন, ‘‘সব বিরোধী দল সংঘবদ্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: রবার্ট বঢরাকে ইডি-র জেরা ছ’ঘণ্টা, স্বামীর পাশে আছি, বললেন প্রিয়ঙ্কা
আমরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছি এবং একসঙ্গে কাজ করব। ১৩ এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে থাকছি।’’
উনিশ তারিখ ব্রিগেড সমাবেশের পর স্থির হয়েছিল, পরবর্তী বিরোধী সমাবেশ হবে চন্দ্রবাবু নায়ডুর অমরাবতীতে। কিন্তু পরিস্থিতির
গুরুত্ব বিবেচনা করে তা দিল্লিতেই
করা হচ্ছে। এক কংগ্রেস নেতার
কথায়, ‘‘সংসদে মোদী সরকারকে কোণঠাসা করার পাশাপাশি সংসদ চলাকালীনই রাজধানীতে একটি সমান্তরাল মঞ্চে সব বিরোধী নেতা একজোট হতে পারলে তা আলাদা গুরুত্ব পাবে।’’