ত্রিপুরায় সিপিএম জিতলে তিনি খুশি হতেন বলে মন্তব্য করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! সেখানে ভোটের ফল বেরোবে ৩ মার্চ। তবে বুথফেরত সমীক্ষার ইঙ্গিত দেখেই তিনি ধরে নিয়েছেন, বিজেপির সেখানে ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা প্রবল। আর তারই ভিত্তিতে বুধবার বিধানসভায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘ত্রিপুরা তো যায় যায় করছে! আপনারা (বাম) থাকলে খুশি হতাম! চেয়েছিলাম, আপনারাই থাকুন!’’
কামতাপুরিকে সরকারি ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে এ দিন বিধানসভায় আপত্তি তুলছিল বাম ও কংগ্রেস। সেই বিতর্কের সূত্রেই সরকার পক্ষকে তীব্র আক্রমণ করেন কংগ্রেসের সুখবিলাস বর্মা ও সিপিএমের অশোক ভট্টাচার্য। সুখবিলাস বলেন, ‘‘সরকারের এই উদ্যোগে রাজ্য ভাগের ভাবনায় সিলমোহর দেওয়া হচ্ছে।’’ অশোক বলেন, ‘‘রাজ্যের স্বার্থে এই কাজ করছে সরকার।’’ তাতেই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা আক্রমণ করেন বিরোধীদের। আসনে বসে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে ওই দুই বিধায়ক আরও কিছু বলার চেষ্টা করতেই গলা চড়িয়েই মমতা বলেন, ‘‘অহঙ্কারই আপনাদের (বামফ্রন্ট) পতনের মূলে! সেই কারণেই ত্রিপুরায়ও এই অবস্থা হচ্ছে!’’
দল ভেঙে যাওয়ার পরে ত্রিপুরায় সাংগঠনিক ভাবে খুবই দুর্বল হয়ে গিয়েছে তৃণমূল। সে কথা জেনেও এ বার সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতার উদ্দেশ্যই এ দিন তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন। বিজেপি-র পথ কঠিন করার লক্ষ্যেই ত্রিপুরায় কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা চেয়েছিলেন মমতা। তবে তাঁর দাবি, কংগ্রেস তাঁদের একটি আসন ছাড়তে চাওয়ায় সেই বোঝাপড়া হয়নি। তাঁদের লক্ষ্য স্পষ্ট করেই ত্রিপুরায় দলের ভারপ্রাপ্ত নেতা সব্যসাচী দত্ত মন্তব্য করেছেন, ‘‘এখনও আমার বিশ্বাস, বামেরাই আসবে। তা হলে আমাদের মিষ্টি খাওয়ানো উচিত সিপিএমের!’’
সিপিএম অবশ্য মমতার মন্তব্যে অন্য গন্ধ খুঁজছে! বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘আমরা হেরে বিজেপি জিতলে যে উনি আসলে খুশি হবেন, সেটাই বেরিয়ে এসেছে! বিজেপি-কে বেকায়দায় ফেলবেন না বলেই তো নীরব মোদী নিয়ে সভায় আলোচনা করতে দেননি।’’