মুম্বই পৌঁছে মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে পুজো দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুম্বই পৌঁছে মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে পুজো দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর তিনি যান পুলিশ মেমোরিয়ালে শ্রদ্ধা জানাতে। স্মরণ করলেন ২৬/১১-য় নিহত শহিদ পুলিশ কর্মী তুকারাম ওম্বলেকে।
পুলিশ মেমোরিয়ালে ২৬/১১-য় নিহত বীর শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে মমতা বলেন, ‘‘তুকারাম ওম্বলে-সহ যাঁরা ওই ঘটনায় শহিদ হয়েছিলেন, তাঁদের প্রত্যেককে আমি শ্রদ্ধা জানাই। সেই সঙ্গে মহারাষ্ট্রের মানুষকেও প্রণাম জানাই।’’
উদ্ধবের সঙ্গে দেখা না হওয়া নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করতে মমতা বলেন, ‘‘মুম্বইয়ে এলে উদ্ধবজি, শরদজি-র বাড়ি যাব না, তা কি হয়! কিন্তু উদ্ধবজি অসুস্থ। ওঁকে ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। যে কারণেই ওঁর বাড়ি যাওয়া হচ্ছে না। তবে ওঁর ছেলে আদিত্য আসছেন দেখা করতে। আর শরদজি বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। ওঁর সঙ্গে দেখা হবে।’’ একই সঙ্গে উদ্ধবের দ্রুত আরোগ্যও কামনা করেন মমতা।
মঙ্গলবার রাতে মুম্বই পৌঁছনোর কথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। ঘোষিত উদ্দেশ্য শিল্প সম্মেলনে উপস্থিতি হলেও, মমতার মুম্বই সফর রাজনৈতিক ভাবেও ‘তাৎপর্যপূর্ণ’।
সাম্প্রতিক দিল্লি সফরে সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তৃণমূল নেত্রীর সপাট জবাব ছিল, দিল্লি এলে সনিয়ার সঙ্গে দেখা করা কি বাধ্যতামূলক? সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছিলেন, নভেম্বরের গোড়ায় মুম্বই যাচ্ছেন শিল্প সম্মেলনে আমন্ত্রিত হয়ে। মায়ানগরীতে মমতা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে ও এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের সঙ্গে দেখা করবেন বলে তখনই জানিয়ে দিয়েছিলেন। বিজেপি-বিরোধী শক্তিগুলিকে এক ছাদের তলায় আনতে মমতা যে সচেষ্ট, তার প্রমাণ মিলতে পারে এই সফর থেকে।