ফাইল চিত্র।
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি দিল্লিতে এসে জানিয়েছিলেন, সংসদে সব বিরোধী দলের সঙ্গে সমন্বয় করেই বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হবে। ঠান্ডা এবং গরম এই দুয়ের মিশ্রণে তৈরি হবে বিরোধিতার কৌশল।
আজ তৃণমূল এক দিকে কংগ্রেসের সঙ্গে সহযোগিতার পথে হাঁটল। অন্য দিকে কৌশলগত ভাবে নিজেদের নীতিতে কিছুটা তারতম্য ঘটিয়ে বিরোধিতার সুর তুলল। চলতি অধিবেশনে আজ সকালে কংগ্রেসের সভাপতি তথা রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গের ঘরে দ্বিতীয় বারের জন্য বিরোধী দলগুলি বৈঠকে বসেছিল। প্রথম বৈঠকে তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকলেও আজ তিনি যাননি। অবশ্য সকালেই তা খড়্গেকে মেসেজ করে জানিয়ে দিয়েছিলেন সুদীপবাবু। সেই সঙ্গে এও জানিয়েছিলেন, কী সিদ্ধান্ত হয় তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হোক। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে প্রথম দিন এই বৈঠকে আপ থাকলেও আজ তাদেরও কোনও প্রতিনিধি বিরোধী বৈঠকে যোগ দেননি।
লোকসভায় আজ কংগ্রেস এবং অন্য বিরোধী দলগুলির সঙ্গে প্রথম বার তাওয়াং কাণ্ডকে কেন্দ্র করে কক্ষত্যাগ করে তৃণমূল। কিন্তু দ্বিতীয় বার যখন কংগ্রেস ওয়াকআউট করে, তাদের সঙ্গে তৃণমূল কিন্তু অধিবেশন কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেনি। তারা নিজেদের মতো করে পরে কক্ষত্যাগ করেছে। কারণ হিসাবে তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কংগ্রেস তাদের দ্বিতীয় বারের কক্ষত্যাগ করার পরিকল্পনা সম্পর্কে আমাদের কিছু জানায়নি। তাই আমরা নিজেদের মতো করে যা করার করেছি।”
একই রকম ভাবে সুরের অমিল পাওয়া গিয়েছে রাজ্যসভাতেও। কংগ্রেসের সঙ্গে কক্ষত্যাগ করলেও সঙ্গে সঙ্গেই ফিরে আসেন তৃণমূলের সাংসদেরা। জ়িরো আওয়ারে রাজ্যসভায় দলের মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায় সাইবার হামলার বিরুদ্ধে দক্ষতা বাড়ানোর প্রসঙ্গটি তোলেন। অন্য সাংসদ আবির বিশ্বাস তোলেন গোবিন্দভোগ চাল থেকেশুল্ক প্রত্যাহারের দাবি। তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, ‘‘আমরা কংগ্রেসের সঙ্গে প্রথম বৈঠকে বিরোধিতার কর্মসূচি নিয়ে একমত হয়েছি। পাঁচটি বিষয় (বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি, রাজ্যকে আর্থিক ভাবে অবরোধ, যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার হত্যা, উত্তর পূর্বাঞ্চলের সমস্যা) নিয়ে আমাদের বিরোধিতার পরিকল্পনা অন্যান্য বিরোধী দলকে জানিয়েছি। কিন্তু কংগ্রেসের সঙ্গে বিরোধিতায় একমত হলেও প্রত্যেকটি দলের কৌশল আলাদা থাকে। সেই হিসাবে আমরাও বিরোধী দলগুলির সঙ্গে সমন্বয় করেও পৃথক ভাবে নিজেদের কৌশল ধরে রাখছি।”