Migrant Workers

পরিযায়ী শ্রমিক ফেরাতে কোর্টের সময় ১৫ দিন

লকডাউনের পর থেকেই পরিযায়ী শ্রমিকদের বেতন না-পাওয়া, ত্রাণশিবিরের দুরবস্থা, ট্রেন-বাস না-পেয়ে রাস্তায় হাঁটতে শুরু করার মতো সমস্যায় সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে একাধিক মামলা হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০২০ ০৩:৩১
Share:

ফাইল চিত্র।

নিজেদের রাজ্যে ফিরতে ইচ্ছুক পরিযায়ী শ্রমিকদের আজ থেকে শুরু করে ১৫ দিনের মধ্যে চিহ্নিত করে তাঁদের বাড়ি পৌঁছনোর ব্যবস্থা করতে হবে বলে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলিকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement

কেন্দ্র আগেই সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রায় ১ কোটি শ্রমিক নিজেদের রাজ্যে ফিরে গিয়েছেন। সরকারের ধারণা, দু’সপ্তাহ পরে এমনিতেই হয়তো পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে আর ‘শ্রমিক স্পেশাল’ ট্রেনের দরকারই পড়বে না। আইনজীবী মহলে তাই প্রশ্ন উঠেছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের বিষয়ে তৎপর হতে শীর্ষ আদালত কি দেরি করে ফেলল?

লকডাউনের পর থেকেই পরিযায়ী শ্রমিকদের বেতন না-পাওয়া, ত্রাণশিবিরের দুরবস্থা, ট্রেন-বাস না-পেয়ে রাস্তায় হাঁটতে শুরু করার মতো সমস্যায় সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে একাধিক মামলা হয়েছিল। কিন্তু আদালত সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ না-করারই অবস্থান নিয়েছিল। শেষে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুরবস্থা নিয়ে প্রবীণ আইনজীবীদের চিঠি পেয়ে সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা শুরু করেছিল। সেই মামলাতেই আজ বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ পাঁচ দফা নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: একাধিক এলাকা থেকে বাহিনী ফেরাল ভারত-চিন, ফের বৈঠক বুধবার

শীর্ষ আদালতের নির্দেশ— এক, ১৫ দিনের মধ্যে ঘরে ফিরতে ইচ্ছুক শ্রমিকদের চিহ্নিত করে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে কেন্দ্র ও রাজ্য। দুই, রাজ্য চাইলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের বন্দোবস্ত করতে হবে। তিন, ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজের সুযোগ খুঁজে দিতে রাজ্যকে ‘হেল্প ডেস্ক’ তৈরি করতে হবে। চার, পরিযায়ী শ্রমিকেরা ফের কর্মক্ষেত্রে ফিরতে চাইলে তাঁদের সাহায্য করতে ‘কাউন্সেলিং সেন্টার’ খুলতে হবে। পাঁচ, লকডাউন ভেঙে রাস্তায় নামার জন্য পরিযায়ী শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা হলে তা প্রত্যাহার করতে হবে।

সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মসংস্থান ও কল্যাণের জন্য কী প্রকল্প রয়েছে, তা আদালতকে জানাতে হবে। শ্রমিকদের কাজের দক্ষতা, কে কোন কাজের যোগ্য, এত দিন কোথায় কাজ করেছেন, তার তথ্যভাণ্ডার তৈরি করতে হবে। সে ক্ষেত্রে শ্রমিকদের কাজ দিতে সুবিধা হবে। ৮ জুলাই ফের এ বিষয়ে শুনানি হবে।

কেন্দ্রের হিসেবে, ৬ জুন পর্যন্ত রাজ্যগুলির তরফে ১৭১টি ট্রেনের দাবি জানানো হয়েছে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ১৭টি ট্রেন চেয়েছে। সেই ট্রেনগুলিতে অবশ্য বাংলা থেকে শ্রমিকদের অন্যান্য রাজ্যে ফেরানো হবে। তার পরেও কোনও রাজ্যের ট্রেন দরকার পড়লে দেওয়া হবে। রেলের হিসেবে, ১ কোটির মধ্যে প্রায় ৬০ লক্ষ শ্রমিক ট্রেনে করে ঘরে ফিরেছেন। আজ আদালতের নির্দেশ, ঘরে ফিরতে চাওয়া শ্রমিকদের নাম নথিভুক্তির ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ করে থানা বা স্থায়ী সরকারি দফতরে করা হোক। কখন কোথাকার ট্রেন বা বাস ছাড়ছে, তা সংবাদমাধ্যমে প্রচার করা হোক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement