মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় বুধবার থেকে অশান্তি চলছে। ছবি: সংগৃহীত।
মণিপুরের চূড়াচাঁদপুরে তিন ঘণ্টার জন্য কার্ফু তুলল সরকার। রবিবার সকালে এই তিন ঘণ্টা সাধারণ মানুষ বাড়ির বাইরে বেরোতে পারবেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার সুযোগ দেওয়ার জন্য সাময়িক ভাবে এই কার্ফু তুলে নেওয়া হয়েছে।
মণিপুর হিংসার জেরে এখনও পর্যন্ত ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার থেকে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে অশান্তি চলছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কোথাও কোথাও কার্ফু জারি করেছে সরকার। রাজ্যের একাংশে বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও।
মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ শনিবার রাতে টুইট করে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনা এবং জরুরি কাজের জন্য রবিবার সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত চূড়াচাঁদপুরে কার্ফু সাময়িক ভাবে তোলা হচ্ছে। ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলেও জানিয়েছে সরকার।
বুধবার রাতে এই চূড়াচাঁদপুরেই হিংসার সূত্রপাত। রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই সম্প্রদায় তফসিলি জনজাতি (এসটি) তকমার দাবিতে আন্দোলন করছে। তাদের দাবির বিরোধিতা করে মণিপুরি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অব মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর তরফে বুধবার একটি মিছিল বার করা হয়েছিল। সেখান থেকেই সংঘাতের সূচনা। যা ক্রমে বৃদ্ধি পেতে থাকে। এক সময় পরিস্থিতি প্রশাসনের হাতের বাইরে চলে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পুলিশ চেষ্টা করেও হিংসা থামাতে পারেনি। ইম্ফলের বিস্তীর্ণ এলাকায় ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। বোমা, গুলির শব্দে শহরে কান পাতাও দায় হয়েছিল। বহু মানুষ ভিটেমাটি ছেড়ে প্রাণের ভয়ে মণিপুর ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।
চূড়াচাঁদপুরে পরিস্থিতি সামাল দিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। বুধবার থেকেই সেখানে কার্ফু জারি। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে শনিবারও সাময়িক ভাবে কার্ফু তোলা হয়েছিল। বিকেল ৩টে থেকে ৫টা পর্যন্ত কার্ফু তুলে নিয়েছিল সরকার। তার পর আবার রবিবার সকালে ঘণ্টা তিনেকের স্বস্তি পাবেন চূড়াচাঁদপুরের বাসিন্দারা।