Hathras Stampede Incident

হাথরসকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মধুকরের আত্মসমর্পণ দিল্লিতে, এক লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল পুলিশ

এই মধুকরই ধর্মগুরু নারায়ণ সাকার হরি ওরফে ভোলে বাবার ঘনিষ্ঠ। হাথরসে ‘সৎসঙ্গে’র আয়োজনের মূল দায়িত্বে ছিলেন মধুকর। তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের হয়। কিন্তু ঘটনার পরই গা-ঢাকা দেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৪ ১২:৩৯
Share:

(বাঁ দিকে) পদপিষ্টের ঘটনায় স্বজনহারানো কান্না। মূল অভিযুক্ত দেবপ্রকাশ মধুকর (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

নজফগড়ে দিল্লি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন উত্তরপ্রদেশের হাথরসে পদপিষ্টের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত দেবপ্রকাশ মধুকর। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার আত্মসমর্পণ করেছেন হাথরসকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত। তাঁকে ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। শনিবারই তাঁকে আদালতে হাজারি করানো হয়েছিল। ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

Advertisement

গত মঙ্গলবার পদপিষ্টের ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন মধুকর। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ বেশ কয়েকটি দল গঠন করে মধুকরের তল্লাশি চালাচ্ছিল। রাজস্থান, দিল্লি এবং হরিয়ানায় পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ওই তিন জায়গার পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। মধুকরের খোঁজে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ যখন তল্লাশি আরও জোরদার করে, তখন ঘটনার চার দিন পর দিল্লিতে আত্মসমর্পণ করেন মধুকর।

এই মধুকরই ধর্মগুরু নারায়ণ সাকার হরি ওরফে ভোলে বাবার ঘনিষ্ঠ। হাথরসে ‘সৎসঙ্গে’র আয়োজনের মূল দায়িত্বে ছিলেন মধুকর। তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরও হয়। কিন্তু ঘটনার পর পরই গা-ঢাকা দেন তিনি। তাঁর খোঁজে এক লক্ষ টাকা আর্থিক পুরস্কারও ঘোষণা করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। কিন্তু মধুকরের নাগাল পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে পুলিশের সন্দেহ ছিল এই কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত পার্শ্ববর্তী কোনও রাজ্যে আত্মগোপন করে আছে। ফলে দিল্লি, হরিয়ানা এবং রাজস্থান পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ঘটনাচক্রে, রাজস্থানের দৌসাতে এক ব্যক্তির বাড়িতে যেতেন ভোলে বাবা। সেখানে ‘সৎসঙ্গ’ও হত। ফলে সেই যোগসূত্রকেও কাজে লাগায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। দিল্লি, হরিয়ানা এবং রাজস্থানে যখন মধুকরের খোঁজে তল্লাশি জোরদার করা হয়, সেই সময় দিল্লির নজফগড়ে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।

Advertisement

হাথরসকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত সাত জন গ্রেফতার হল। এই ঘটনায় যে এফআইআর করা হয়েছিল, মূল অভিযুক্ত হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছিল মধুকরকেই। তবে এফআইআরে ভোলে বাবার কোনও উল্লেখ করা হয়নি। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিও সরগরম হয়েছে। গত ২ জুলাই পদপিষ্টের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১২১ জনের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement