Grenade Attack in Amritsar Temple

এনকাউন্টারে মৃত্যু অমৃতসরের মন্দিরে বোমা হামলায় অভিযুক্তের, ফেরার আর এক সহযোগী

শুক্রবার গভীর রাতে পঞ্জাবের অমৃতসরের কাছে ঠাকুরদ্বারা মন্দিরে হামলার অভিযোগ ওঠে। মোটর সাইকেলে চেপে দুই যুবক মন্দিরের সামনে এসে গ্রেনেড ছোড়েন বলে অভিযোগ। এর পরেই দুই দুষ্কৃতীর খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৫ ১১:২১
Share:
(বাঁ দিকে) সিসিটি‌ভি ক্যামেরায় ধরা পড়া মন্দিরে বোমা ছোড়ার দৃশ্য। চলছে তদন্ত (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) সিসিটি‌ভি ক্যামেরায় ধরা পড়া মন্দিরে বোমা ছোড়ার দৃশ্য। চলছে তদন্ত (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

এনকাউন্টারে মৃত্যু হল অমৃতসরের মন্দিরে গ্রেনেড হামলার মূল অভিযুক্তের। মঙ্গলবার ভোরে পঞ্জাব পুলিশের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত গুলির লড়াইয়ে গুরুতর আহত হন গুরসিদক সিংহ নামে ওই যুবক। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। যদিও এই সুযোগে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়েছেন গুরসিদকের আর এক সহযোগী বিশাল।

Advertisement

শুক্রবার গভীর রাতে পঞ্জাবের অমৃতসরের কাছে ঠাকুরদ্বারা মন্দিরে হামলার অভিযোগ ওঠে দুই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। মোটর সাইকেলে চেপে দুই যুবক মন্দিরের সামনে এসে গ্রেনেড ছোড়েন বলে অভিযোগ। এর পরেই দুই দুষ্কৃতীর খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ। শেষমেশ গোপন সূত্রে খবর পাওয়া যায়, রাজাসানসি এলাকায় গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছেন অভিযুক্তেরা। তাঁদের খোঁজে সিআইএ এবং ছেহর্তা পুলিশের তদম্তকারীদের সমন্বয়ে একটি যৌথ দলও গঠন করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ভোরে দুই অভিযুক্তের দেখা পায় পুলিশ। কিন্তু তাঁদের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতেই পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করেন দুষ্কৃতীরা। আত্মরক্ষার জন্য পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও। তাতেই আহত হন গুরসিদক। যদিও, এলাকা ছেড়ে চম্পট দেন তাঁর সঙ্গী বিশাল।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আততায়ীদের ছোড়া গুলিতে আহত হয়েছেন হেড কনস্টেবল গুরপ্রীত সিংহ এবং ইন্সপেক্টর অমোলক সিংহ। তৃতীয় রাউন্ড গুলি পুলিশের গাড়িতে গিয়ে লাগে। তখনই পাল্টা গুলি চালান ইন্সপেক্টর বিনোদ কুমার। তড়িঘড়ি অভিযুক্ত এবং আহত পুলিশকর্মীদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় গুরসিদকের। তবে তাঁর সহযোগী এখনও পলাতক। তাঁর খোঁজে ফের তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

গত ১৫ মার্চ রাত ১২টা ৩৫মিনিট নাগাদ অমৃতসরের মন্দিরে গ্রেনেড হামলার ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ, মন্দির লক্ষ্য করে বোমা ছুড়ে পালিয়ে যান দুই যুবক। মন্দির চত্বরের সিসিটিভি ফুটেজে তা ধরা পড়ে। ঘটনার তদন্তে নেমে পাকিস্তান-যোগের সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখতে শুরু করেন পুলিশকর্মীরা। এলাকার সমস্ত সিসি ক্যামেরার ফুটেজও খতিয়ে দেখা হয়। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানও এই ঘটনার পরে বলেন, “পাকিস্তান নিয়মিত ভাবে ড্রোন পাঠাচ্ছে, তাই এই ধরনের কাজ হয়েই চলেছে।” তবে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, বিস্ফোরণে কোনও হতাহতের ঘটনা না-ঘটলেও মন্দিরের দেওয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকাবাসীদের মধ্যেও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement