সংসদে গেলেন মহুয়া মৈত্র। সোমবার। ছবি: পিটিআই।
শীতকালীন অধিবেশন শুরু হওয়ার কিছু সময় পরেই শাসক এবং বিরোধী সাংসদদের মধ্যে হইহট্টগোলের জেরে মুলতুবি করে দেওয়া হল লোকসভা। দুপুর ১২টা পর্যন্ত লোকসভার অধিবেশন মুলতুবি থাকছে। ‘টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন’ সংক্রান্ত বিষয়ে মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে অধিবেশন উত্তপ্ত হতে পারে বলে আগেই মনে করা হচ্ছিল। ইতিমধ্যেই লোকসভায় পৌঁছেছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ।
সোমবার আরও একবার মহুয়ার পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, “বহিষ্কারের প্রসঙ্গ উঠলে আমরা তার বিরোধিতা করব। আমরা ইতিমধ্যেই একটি চিঠি দিয়ে বলেছি যে এই বিষয়গুলি নিয়ে সংসদের ভিতরে আলোচনা হোক।”
মহুয়ার বিরুদ্ধে ‘টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন’ করার অভিযোগ তোলা বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে অবশ্য বলেন, “আমি জানি না এথিক্স কমিটির রিপোর্টে কী প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আগে রিপোর্ট সংসদে পেশ করা হোক। আমি তার পরই যা বলার বলব।” তার পরই অধীরকে কটাক্ষ করে বলেন, “আমি জানি না ওই রিপোর্ট কী ভাবে ফাঁস হয়ে গেল। আমার মনে হয় অধীর চৌধুরী এটা ফাঁস করেছেন।” প্রসঙ্গত, মহুয়াকে সংসদ থেকে বহিষ্কার সংক্রান্ত এথিকস কমিটির রিপোর্ট লোকসভায় পেশ হওয়ার আগেই কী ভাবে প্রকাশ্যে এল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলগুলি।
রবিবারই তিন রাজ্যে ‘অভাবনীয় ফল’ করেছে বিজেপি। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়ে বিপুল জয়ের পর রবিবার সন্ধ্যায় বিরোধীদের নিশানা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই ধারাই অব্যাহত রইল সোমবার সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরুর দিনেও। সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ বিরোধীদের, ভোটে হারকে শেখার সুযোগ হিসাবে দেখা শুরু করুক বিরোধীরা! মোদীকে ঘিরে এ দিন বিজেপি সাংসদদের উন্মাদনাও ছিল চোখে পড়ার মতো। সংসদের বিরুদ্ধেই বিজেপি সাংসদের স্লোগান দিয়ে বলেন, “তিসরি বার মোদী সরকার।” তৃতীয় বারও যে মোদী সরকারই ক্ষমতায় আসছে, এই বার্তাই স্লোগানের মাধ্যমে দিতে চাওয়া হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সংসদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করায় অভিযুক্ত বিজেপি সাংসদ রমেশ বিদুরির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সোমবার সকালেই গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিএসপি সাংসদ দানিশ আলি। মহুয়া প্রসঙ্গে দানিশ বলেন, “লোকসভার এথিক্স কমিটির রিপোর্ট আইন লঙ্ঘন করেছে। তাই আমরা চাইছি যে, সংসদে এই বিষয়ে আলোচনা হোক।”