নিহত তরুণী (বাঁ দিকে) ও অভিযুক্ত যুবক। ছবি: টুইটার থেকে
এক সপ্তাহের লড়াই শেষ। হাসপাতালে মৃত্যু হল গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া সেই কলেজ শিক্ষিকার। গত ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধায় তাঁর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয় ভিকি নাগরালে। সাত দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত শিক্ষিকা অঙ্কিতা পিসুডেকে (২৫) প্রায় দু’বছর ধরে ওই যুবক উত্ত্যক্ত করছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। আগুন লাগানোর পরেই ভিকিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মহারাষ্ট্র পুলিশ সূত্রে খবর, বিবাহিত ভিকির সাত মাসের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই ওই তরুণীকে প্রেম প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু অঙ্কিতা রাজি না হওয়ায় নানা ভাবে তাঁকে হেনস্থা ও উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন বলে অভিযোগ। তদন্তকারী এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, গত বছর এক বার আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন ভিকি।
এর মধ্যেই গত সোমবার সকাল ৭.১৫ নাগাদ একটি বাস থেকে নামতেই অঙ্কিতার তাঁর পথ আটকায় ভিকি। নিজের বাইক থেকে পেট্রোল বের করে তাঁর গায়ে ঢেলে দেয়। তার পর আগুন লাগিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। এলাকার লোকজন ছুটে এসে কোনওরকমে আগুন নেভান। কিন্তু তাঁর শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে যায়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ ভিকিকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন: মৃত বেড়ে ৯০০, চিনে এ বার নিখোঁজ করোনার খবর করা সাংবাদিক
অন্য দিকে তরুণীকে ভর্তি করা হয় নাগপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। কিন্তু আজ সোমবার তাঁর মৃত্যু হয়। ওই হাসপাতালের ডিরেক্টর অনুপ মারার বলেন, আজ সকাল ৬.৫৫ মিনিটে অঙ্কিতাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ‘সেপ্টিসেমিক শক’-এ তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকদের প্রাথমিক অনুমান। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিএএ-র বিরুদ্ধে সরব উর্দু কবির মেয়েকে পাকিস্তান যাওয়ার ‘পরামর্শ’ বিজেপি নেতার
ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন পড়ে যায় ওয়ার্ধায়। এলাকায় ব্যাপক পুলিশি মোতায়েন ও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। তার মধ্যেই ধৃত ভিকির ফাঁসির দাবিতে এলাকার মহিলা ও কলেজ প়ডুয়ারা মিছিলও করেন। গত সপ্তাহে হাসপাতালে তরুণীকে দেখে আসেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ। মামলায় সরকারি আইনজীবীর দায়িত্ব বর্তেছে বিশিষ্ট আইনজীবী উজ্জ্বল নিকমের উপর। তার মধ্যেই তরুণী শিক্ষিকার মৃত্যুর পর এলাকায় আরও উত্তেজনা বেড়েছে। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তাও।