একনাথ শিন্ডে এবং দেবেন্দ্র ফডণবীস। ফাইল চিত্র।
গত রবিবারের (২ জুলাই) পট পরিবর্তন মহারাষ্ট্র রাজনীতিতে বদলে দিয়েছে বেশ কয়েকটি সমীকরণ। অজিত পওয়ার-সহ ন’জন বিদ্রোহী এনসিপি বিধায়কের মন্ত্রিত্ব লাভের পরে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের অনুগামীদের একাংশ ক্ষুব্ধ বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিজেপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস একান্তে কথা বলেন শিন্ডের সঙ্গে।
অজিত শিবির বিজেপির সহযোগী হওয়ায় মহারাষ্ট্রে চাপ বেড়েছে শিন্ডেসেনার উপর। বৃহস্পতিবার উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা (বালাসাহেব) দাবি করেছিল, ‘ঘরে’ ফিরতে চেয়ে শিন্ডেসেনার বেশ কয়েক জন বিধায়ক তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তার পরেই শিন্ডের সঙ্গে এই বৈঠক করেন ফড়ণবীস। গত বছরের জুন মাসে শিবসেনা ভেঙে বিজেপির সাহায্যে উদ্ধব সরকারের পতন ঘটিয়েছিলেন শিন্ডে।
বিরোধীদের অভিযোগ, পরিবর্তনের পর থেকে ‘ছদ্ম’ মুখ্যমন্ত্রী হয়েই ক্ষমতা ভোগ করছিলেন শিবসেনার নেতা একনাথ শিন্ডে। বকলমে রাজ্য সামলাচ্ছিলেন ফডণবীস। এ বার শিন্ডে মন্ত্রিসভায় উপমুখ্যমন্ত্রী পদ পেয়ে ফডণবীসের সহযোগী হয়েছেন অজিত। কার্যত এর পরেই শিন্ডের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
বস্স্তুত, অজিত এনডিএতে শামিল হওয়ার পরেই উদ্ধব বলেছিলেন, ‘‘অজিত পওয়ারকে মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে এমনটাই ডিল হয়েছে বিজেপি এবং এনসিপির। এ বার শিন্ডেকে সরিয়ে অজিতের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া সময়ের অপেক্ষা।’’ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে অজিতের দাবি মতো ৪০ জন বিধায়ক যদি এনসিপির হয়ে সরকারকে সমর্থন করেন, তা হলে অবধারিত ভাবে বিজেপির কাছে গুরুত্ব হারাবেন শিন্ডে। সে ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভার আসন্ন সম্প্রসারণে শিন্ডেগোষ্ঠীর সাংসদদের ঠাঁই হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। প্রশ্ন রয়েছে, আগামী বছরের লোকসভা ভোটে বিজেপি ক’টি আসন শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনাকে ছাড়বে, তা নিয়েও।