Split in NDA

অজিত পওয়ারকে কালো পতাকা বিজেপির! কৈফিয়ত চাইল এনসিপি! মহারাষ্ট্রে ভাঙনের মুখে এনডিএ?

পুণের নারায়ণগাওঁয়ে অজিতের কর্মসূচির সময় বিজেপির ওই বিক্ষোভে পদ্ম শিবিরের জেলা স্তরের নেতারাও হাজির ছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছে এনসিপি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২৪ ১৫:৪০
Share:

অজিত পওয়ারের যাত্রায় বিজেপির বিক্ষোভ। —ফাইল চিত্র।

লোকসভা ভোটের পরে টানাপড়েন শুরু হয়েছিল মহারাষ্ট্রের শাসকজোট ‘মহাদ্যুতি’র অন্দরে। এ বার সে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপির সঙ্ঘাত রাস্তায় নেমে এল। রবিবার পুণের জুন্নার এলাকায় অজিতের ‘জন সম্মান যাত্রা’র সময় কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। যার জেরে সোমবার বিজেপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের আর এক উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসের কাছে কৈফিয়ত চেয়েছেন এনসিপি মুখপাত্র অমল মিতকারি!

Advertisement

জুন্নার এলাকায় নারায়ণগাওঁয়ে অজিতের কর্মসূচির সময় বিজেপির ওই বিক্ষোভে পদ্ম শিবিরের জেলা স্তরের নেতারাও হাজির ছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছে এনসিপি। বিক্ষোভকারীদের হাতে কালো পতাকার পাশাপাশি ছিল বিজেপির পতাকাও। প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটে মহারাষ্ট্রে এনডিএ-র সার্বিক খারাপ ফলের জন্য অজিতের এনসিপি-র সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের হাত মেলানোকে দায়ী করে জুলাই মাসে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) মুখপত্রে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল।

মহারাষ্ট্রে ৪৮টি আসনের মধ্যে এনডিএ পেয়েছে ১৭টি আসন। বিজেপি সাতটি, দুই শরিক শিবসেনা (শিন্ডে) এবং এনসিপি (অজিত) গোষ্ঠী যথাক্রমে জিতেছে ন’টি ও একটি আসন। পাঁচ বছর আগের ফল থেকে প্রায় দু’ডজন আসন কম পেয়েছে এনডিএ জোট। এই পরিস্থিতিতে আরএসএসের মুখপত্রের দাবি, অহেতুক রাজনীতির ঘুঁটি সাজাতে গিয়ে দল ভাঙানো মহারাষ্ট্রে বিজেপির ক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হয়েছে। সে রাজ্যে বিজেপি-শিবসেনা সরকারের প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও ২০২৩ সালের জুলাই মাসে এনসিপি-তে ভাঙন ধরানো হয়েছিল। যার ফলে অজিত তাঁরা কাকা তথা এনসিপি প্রতিষ্ঠাতা শরদ পওয়ারের সঙ্গ ছেড়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়ককে নিয়ে এনডিএতে যোগ দেন।

Advertisement

সঙ্ঘের অভিযোগ, অজিতের এনডিএতে অন্তর্ভুক্তির ফলে বিজেপির পুরনো কর্মীরা মনঃক্ষুণ্ণ হন। কারণ, তাঁরা বরাবরই কংগ্রেসের ভাবধারার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে এসেছেন। (কংগ্রেসি ভাবধারার নেতা) অজিতের এনডিএতে যোগদানে ‘ব্র্যান্ড বিজেপি’ বাজারদরও নেমে যায়। তা ছাড়া, ভোটের আগে এনডিএতে যোগ দেওয়া নেতাদের বিরুদ্ধে যে নানা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, সে কথাও লেখা হয় সঙ্ঘের মুখপত্রে। এর পরেই দু’দলের টানাপড়েন শুরু হয়েছে। বস্তুত শাসকজোটের অন্তর্কলহের কারণেই গত দেড় দশকের প্রথা ভেঙে এ বার হরিয়ানার সঙ্গে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটের আয়োজন করা হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরারা।

মহারাষ্ট্র বিধানসভায় মোট বিধায়কের সংখ্যা ২৮৮। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জাদু সংখ্যা ১৪৫। বিজেপির ১০‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌৩ এবং শিন্ডেসেনার ৩৮ জন বিধায়ক রয়েছেন। পাশাপাশি, বহুজন বিকাশ আঘাড়ীর ৩, প্রহার জনশক্তি পার্টির ২ এবং মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা, রাষ্ট্রীয় সমাজ পক্ষ, জেএসএসের এক জন করে বিধায়ক এবং ১৪ নির্দলের সমর্থনও রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের সরকারের পাশে। এই পরিস্থিতিতে অজিতের ৪০ জন বিধায়ককে বাদ দিলেও গরিষ্ঠতা হারাবেন না শিন্ডে। বিধানসভা ভোটের আগে কি সঙ্ঘের পরামর্শ মেনে অজিত-বিদায়ের বন্দোবস্ত করছে বিজেপি?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement