প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক ভোট দিতে এলেন না শিন্ডের বিরুদ্ধে। ফাইল চিত্র।
স্পিকার রাহুল নরবেকর নির্দেশ দিয়েছিলেন আস্থাভোটে অংশ নিতে গেলে বেলা ১১টার মধ্যে বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে ঢুকতে হবে। কিন্তু মহারাষ্ট্রের দুই সদ্যপ্রাক্তন কংগ্রেস মন্ত্রী অশোক চহ্বাণ এবং বিজয় বড়েট্টিওয়াড পৌঁছন নির্ধারিত সময়ের কিছুক্ষণ পরে। ফলে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের পেশ করা আস্থাপ্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটিতে তাঁরা অংশ নিতে পারলেন না।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক পরিষদীয় রাজনীতিতে ‘দক্ষ’ হিসেবে পরিচিত। তাঁর এমন কাজ নিয়ে তাই প্রশ্ন উঠেছে। কংগ্রেসের ধীরাজ দেশমুখ, জিশান সিদ্দিক, এনসিপির লক্ষ্মণ জগতাপ-সহ একাধিক বিধায়ক অনুপস্থিত ছিলেন সোমবারের আস্থাভোটে। যদিও তাঁদের অনেকেই রবিবার স্পিকার নির্বাচন-পর্বে হাজির হয়ে মহাবিকাশ আঘাডী জোটের প্রার্থী রাজন সালভিকে ভোট দিয়েছিলেন। স্পিকার নির্বাচনে উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটের প্রার্থী ১০৭টি ভোট পেলেও ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে তা নেমে এসেছে ৯৯-এ!
এই ঘটনাকে ‘ইঙ্গিতবাহী’ বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিদের একাংশ। তাঁরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, অতীতে আদর্শ আবাসন-সহ বেশ কয়েকটি দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোকের বিরুদ্ধে। সোমবার গরহাজির বিধায়কদের একাংশও ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র নিশানায় । এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদলের পর কংগ্রেস এবং এনসিপির বিধায়কদের একাংশকে বিজেপি ভাঙিয়ে নিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।