এই ছবিউ টুইট করেছেন সঞ্জয়। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
‘ঠিক এমনটাই হয়েছে।’
সাদা কুর্তা-পাঞ্জাবি পরা একটি শরীরের পিছনের অংশ। পিঠের উপর তিনটি গভীর ক্ষতচিহ্ন। বৃহস্পতিবার উদ্ধব ঠাকরের অনুগামী শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতের টুইট করা ওই ছবি এবং মরাঠী ভাষায় তিন শব্দের মন্তব্য ঘিরে জল্পনা দানা বেঁধেছে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে।
ছবির অবয়বের সঙ্গে সদ্য-প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের মিল স্পষ্ট। আঘাতের চিহ্ন বলছে, পিছন থেকে হামলার শিকার হয়েছেন তিনি। মনে করা হচ্ছে ‘সম্ভাব্য হামলাকারী’ হিসেবে বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডের দিকেই ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন সঞ্জয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ‘আঘাতের ধরন’ নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
কারণ, পিঠের উপর সমান দূরত্বে তিনটি প্রায় সম আকৃতির আঘাত ছুরি বা অন্য কোনও ধারাল অস্ত্রের দ্বারা করা কঠিন। আর এ ক্ষেত্রে সামনে চলে আসছে মরাঠা ইতিহাসের সেই পরিচিত অস্ত্র— বাঘনখ। যার আঘাতে বিজাপুরের সেনাপতি আফজল খানকে হত্যা করেছিলেন ছত্রপতি শিবাজি।
সঞ্জয় বৃহস্পতিবার শিন্ডে শিবিরের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ তুলে বলেছেন, ‘‘নিজেদের লোকেরাই পিঠে ছুরি মেরেছে। কিন্তু ক্ষমতার জন্য শিবসেনার জন্ম হয়নি। ক্ষমতার জন্ম হয় শিবসেনার জন্য। আমরা আবার ঘুরে দাঁড়াব।’’ সঙ্কটের মুহূর্তে উদ্ধবের পাশে থাকার জন্য এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার এবং কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানান তিনি।