পৃথ্বীরাজ চহ্বাণ। ফাইল চিত্র।
শুধু শিবসেনা নয়, উদ্ধব ঠাকরের সরকারের পতন ঘটাতে কংগ্রেস বিধায়কদের একাংশের সঙ্গেও ‘যোগাযোগ’ রেখেছিল বিজেপি। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পৃথ্বীরাজ চহ্বাণ বৃহস্পতিবার এই দাবি করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সরকার থাকুক বা না থাকুক, দলগত ভাবে কংগ্রেস ‘মহাবিকাশ আঘাডী’ জোটের (যার শরিক শিবসেনা এবং এনসিপি) সঙ্গেই থাকবে।’’
গত সোমবার মহারাষ্ট্র বিধানসভায় আস্থাভোটে জেতেন বিদ্রোহী শিবসেনা নেতা তথা নয়া মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। ভোটাভুটিতে অনুপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েক জন কংগ্রেস বিধায়ক। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চহ্বাণ এবং দলের প্রাক্তন মন্ত্রী বিজয় বড়েট্টিওয়াড ছিলেন সেই তালিকায়। ধীরাজ দেশমুখ, জিশান সিদ্দিকের মতো প্রভাবশালী কংগ্রেস বিধায়কদেরও দেখা যায়নি। তাঁদের অনুপস্থিতি নিয়ে জল্পনা রয়েছে মরাঠা রাজনীতিতে।
শরদ পওয়ারের দল এনসিপির প্রথম সারির নেতা লক্ষ্মণ জগতাপ-সহ কয়েক জন বিধায়কও সোমবারের আস্থাভোট পর্বে বিধানসভায় গরহাজির ছিলেন। এই ঘটনাকে ‘ইঙ্গিতবাহী’ বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিদের একাংশ। তাঁরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, অতীতে আদর্শ আবাসন-সহ বেশ কয়েকটি দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোকের বিরুদ্ধে। সোমবার গরহাজির বিধায়কদের একাংশও ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র নিশানায় । এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদলের পর কংগ্রেস এবং এনসিপির বিধায়কদের একাংশকে বিজেপি ভাঙিয়ে নিতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার পৃথ্বীরাজের মন্তব্যেও তার ইঙ্গিত মিলেছে।