ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক সঙ্কট। মহাসঙ্কটে উদ্ধব ঠাকরের মহা বিকাশ আগড়ি (এমভিএ) জোট সরকার। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যবাসীর উদ্দেশে ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বললেন, ‘‘বিদ্রোহী বিধায়করা যদি আমায় না চান, তা হলে আমি এখনই ইস্তফা দিতে তৈরি। আমি ইস্তফাপত্র তৈরি রেখেছি। বিধায়করা এসে আমায় বলুন, আমরা আপনাকে চাই না।’’ ঠাকরে বলেন, ‘‘হিন্দুত্বই শিবসেনার পরিচয় এবং আদর্শ। কিছু দল শিবসেনার হিন্দুত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছে দেখে অবাক লাগছে।’’ তাঁর দাবি, এক জন বিধায়কও যদি তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে না চান, তা হলে তিনি পর মুহূর্তেই ‘বর্ষা’ (মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন) ছেড়ে ‘মাতুশ্রী’তে (উদ্ধবের বাসভবন) চলে যাবেন। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী হব তা কখনও ভাবিনি। তাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব আসার পর কিছুটা অবাকই হয়েছিলাম।’’
এই টানাপড়েনের পরিস্থিতিতে তাঁর কাছে শরদ পওয়ার ও কমলনাথের ফোন এসেছিল বলে জানিয়েছেন উদ্ধব। ‘‘ওঁরা আমাকে জানিয়েছেন, আপনাকেই মুখ্যমন্ত্রীপদে দেখতে চাই। আমি ওঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছি।’’ উদ্ধবের দাবি, একনাথ শিন্ডের সঙ্গে আছেন এমন বিধায়করাও তাঁকে ফোন করেছিলেন। তাঁরা উদ্ধবকে জানিয়েছেন, তাঁদের জোর করে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
সরকারের স্থায়িত্বের উপর বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন ঝুলে গিয়েছিল, শিবসেনার একনাথ শিন্ডে একাধিক বিধায়কদের নিয়ে সুরাত পাড়ি দেওয়ার পর। তার পর ক্রমশ ঘনীভূত হয়েছে রাজনৈতিক নাটক। গুজরাত ছেড়ে শিন্ডে উড়ে গিয়েছেন আর এক বিজেপি শাসিত রাজ্য অসমে। বিকেলের দিকে তিনি দাবি করেছেন সঙ্গে রয়েছে ৪৬ জন বিধায়কের সমর্থন। ক্রমশ তা আরও বাড়বে। এই পরিস্থিতিতে উদ্ধব নিজের বাসভবন বর্ষায় বৈঠক ডেকেছিলেন শিবসেনা বিধায়কদের। শিবসৈনিকদের বলে দেওয়া হয়েছিল, বৈঠকে গরহাজিরদের সদস্যপদ বাতিল করা হবে।
এ দিকে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ নেই বলে দাবি করলেও শিন্ডেরা গুয়াহাটি পৌঁছনোর পর যে ভাবে মহারাষ্ট্র বিজেপির সভাপতি চার্টার্ড বিমানে প্রথমে সুরাত হয়ে গুয়াহাটি উড়ে গেলেন, তাতে শিন্ডের দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন উদ্ধবের পক্ষে থাকা শিবসেনার বিধায়করা।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।