ফাইল ছবি।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে তুমুল আক্রমণ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন সুবিচারের দাবি। তাঁর আক্রমণ, গণতন্ত্রকে ‘বুলডোজ’ করতে চাইছে বিজেপি সরকার। বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, ‘‘এ ভাবে ইডি, সিবিআই আর টাকা দিয়ে দল ভাঙাবেন না। এটা আপনাদের সঙ্গেও হতে পারে।’’
এই প্রথম মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধবের পাশে এসে দাঁড়ালেন আর এক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা। গেরুয়া শিবিরকে সরাসরি আক্রমণ করে বললেন, ‘‘অনৈতিক ও অসাংবিধানিক ভাবে মহারাষ্ট্রে সরকার ফেলার চেষ্টা করছে বিজেপি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘এই কাজে বিজেপি ব্যবহার করছে মানি-মাসল আর মাফিয়া শক্তি।’’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘দেশে কোথায় গণতন্ত্র! যে আপনার বিরোধিতা করবে, তাঁকেই ইডি-সিবিআই দিয়ে হেনস্থা করবেন। আজ ত্রিপুরায় ভোটের নামে কী হয়েছে, আপনারা সকলেই দেখেছেন। একটা গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত সরকার এ ভাবে গণতন্ত্রকে হরণ করতে পারে! কেউ বিরোধিতা করলেই তাঁকে বুলডোজ করতে আসেন, আর আপনাদের সমস্ত নেতা যেন সাধু। এত টাকা আসে কোথা থেকে? এটা কি আর একটা হাওয়ালা কেলেঙ্কারি নয়?’’ সরাসরি উদ্ধবের পাশে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, ‘‘আমি উদ্ধবের হয়ে সুবিচার চাইছি। কারণ, আমি নিশ্চিত, মহারাষ্ট্রে সরকার ফেলার পর আরও অনেক রাজ্যে একই ভাবে সরকার ফেলার ফন্দি আঁটছে বিজেপি। এটা কি গণতন্ত্র! আমি বলতে চাই, এ ভাবে গণতন্ত্রকে মেরে ফেলবেন না। এক দিন না এক দিন তো আপনাকে যেতেই হবে, সে দিন কী রেখে যাবেন! ইডি, সিবিআই আর টাকা দিয়ে এ ভাবে সরকার ভাঙবেন না।’’ মমতা বলেন, ‘‘আমার দলের ২০০ জনকে ইডি, সিবিআইয়ের নোটিস পাঠিয়ে রেখেছে, যদিও কেউ অভিযুক্ত নয়।’’
মুখ্যমন্ত্রীর কথায় ঘুরেফিরে আসে অসমের বন্যা-প্রসঙ্গও। ঘটনাচক্রে বন্যাবিধ্বস্ত অসমের বিলাসবহুল হোটেলেই আপাতত ঘাঁটি গেড়ে রয়েছেন বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়করা। ‘‘ওখানে একটা বিরাট ফ্লাড হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ওদের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার বদলে কেন বিরক্ত করছে! বিধায়ক কেনাবেচা করতে তাঁদের সবাইকে অসম পাঠিয়ে দেওয়া হল।’’ কটাক্ষ করে মমতা বলেন, ‘‘অসমের বদলে বাংলায় পাঠাতে পারতেন। আমরা ভাল আতিথেয়তা করতাম। গণতন্ত্রকে রক্ষা করতাম।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।