বলিউডকে কেন বার বার নিশানা করছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো? প্রশ্ন উদ্ধবের। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খানের মাদক মামলা ঘিরে কি অবশেষে কেন্দ্র বনাম রাজ্য সঙ্ঘাতে পরিণতি পেল? দুই সরকারের সাম্প্রতিক গতিবিধি বিশ্লেষণ করে এই প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ। কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (এনসিবি) অসদুদ্দেশ্যে বলিউডকে নিশানা করেছে, হেনস্থা করা হচ্ছে তারকাদের। এই অভিযোগ করে এ বার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিতে চলেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।
অক্টোবরের শুরুতে প্রমোদতরীতে মাদক মামলায় গ্রেফতার হন আরিয়ান খান-সহ আরও কয়েক জন। কিন্তু তার পর এক মাসে ঘটনাপ্রবাহ যে ভাবে গড়িয়েছে তাতে অন্য রকম গন্ধ পাচ্ছেন অনেকেই। মামলার তদন্তকারী আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়েকে নিয়ে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন মহারাষ্ট্র সরকারের প্রবীণ মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা নবাব মালিক। তাতে গলা মিলিয়েছেন সরকারে এনসিপি-র জোটসঙ্গী শিবসেনার নেতা সঞ্জয় রাউত। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এ বিষয়ে এখনও একেবারে চুপ আর এক জোটসঙ্গী কংগ্রেস। কিন্তু এনসিপি ও শিবসেনা এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে আক্রমণ শানাতে দেরি করেনি। এই প্রেক্ষিতেই এ বার সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিচ্ছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব, জানিয়েছেন নবাব মালিক।
মহারাষ্ট্র সরকার সূত্রে খবর, যে ভাবে এনসিবি-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থাকে বার বার বলিউডের তারকাদের পিছনে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তাতে প্রতিহিংসার ছায়া দেখছেন মন্ত্রিসভার তাবড় সদস্যরা। বলিউডের উপর নির্ভর করে শুধুই তারকাদেরই নয়, লক্ষ লক্ষ মানুষের নিত্য অন্ন সংস্থান হয়। কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে সেই বিপুল উদ্যোগকে স্তব্ধ করে দিতে চাইছে বিজেপি। এমনটাই অভিযোগ শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতের।
মঙ্গলবারই এনসিপি নেতা তথা রাজ্যের দাপুটে মন্ত্রী নবাব মালিক দেখা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে ও সে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ পাটিলের সঙ্গে। আরিয়ান কাণ্ডে এনসিবি-র ভূমিকা খতিয়ে দেখার জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনের সুপারিশ করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে আসার পর নবাব বলেন, ‘‘গোটা ঘটনাপ্রবাহে মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত অসন্তুষ্ট। এতে বলিউডকে নিশানা করা হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। বিশ্বে হলিউডের পর এক মাত্র বলিউডই এমন জায়গা, যেখানে বিনোদনের সুবাদে লক্ষ মানুষের সংসার চলে। দেশের জিডিপি-তে বলিউডের অবদান প্রায় ২ থেকে ৩ শতাংশ। একে ধ্বংস করার চেষ্টা করলে শুধু মুম্বই নয়, তার আঁচ এসে লাগবে দেশের অর্থনীতিতেও।’’