ফাইল চিত্র।
দেবেন্দ্র ফডণবীসের ‘ছায়াসঙ্গী’ হয়ে কাজ করতে হবে! মহারাষ্ট্রের নতুন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের কাছে এটাই ‘বড় চ্যালেঞ্জ’ বলে মনে করছেন বিজেপি ও শিবসেনার বিদ্রোহীদের একাংশ। মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসে যাতে বিজেপির হাতের ‘পুতুল’ না হয়ে যান, সে বিষয়ে শিন্ডেকে সন্তর্পণে পা ফেলতে হবে, এমনটাই ধারণা শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়কদের একাংশের।
তাঁদের মতে, এমন এক দলের সঙ্গে জোট বেঁধে শিন্ডেকে সরকার গড়তে হল, যারা ধারেভারে যথেষ্ট 'শক্তিশালী'। সংখ্যার দিক থেকেও বিজেপি এগিয়ে রয়েছে। ফলে শিন্ডে মুখ্যমন্ত্রীর সিংহাসনে বসলেও সরকারের মূল চালিকাশক্তি হতে পারেন ফডণবীস-সহ বিজেপি নেতৃত্ব। কার হাতে কী দফতর থাকছে, তা এখনও জানানো হয়নি। ফলে এ নিয়ে শিন্ডে শিবিরের একাংশের মধ্যে আশঙ্কার কালো মেঘ দানা বেঁধেছে।
বিজেপির এক নেতার কথায়, ফডণবীসের ছায়ায় থেকে কাজ করতে হবে, এটাই শিন্ডের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি আরও বলেছেন, ভবিষ্যতে শিন্ডে ও ফডণবীসের মধ্যে মুম্বইয়ের একাধিক বিষয় নিয়ে মতপার্থক্য হতে পারে। শীর্ষ আমলা ও পুলিশ অধিকারিকদের নিয়োগ নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে বিবাদের আশঙ্কা রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিবসেনার এক নেতা বলেছেন, ‘‘শিন্ডে ও ফডণবীসের কাজ করার ধরন আলাদা। ফলে তাঁদের মধ্যে মনোমালিন্য হতে পারে। তা ছাড়া ফডণবীসের ক্ষুরধার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা রয়েছে।’’
এ ছাড়াও স্থানীয় প্রশাসনে ওবিসিদের (পিছিয়ে পড়া শ্রেণি) জন্য সংরক্ষণ এবং সরকারি চাকরি ও শিক্ষাক্ষেত্রে মরাঠিদের সংরক্ষণের বিষয়টিও সামলাতে হবে নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতা বলেছেন, ‘‘ফডণবীসকে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে পাওয়ায় সমস্যা সমাধানে সহজেই কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতা পাবেন শিন্ডে।’’